ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কা বনাম আশ্বাস। কে কোনদিক ধরে রাখতে পারে, সেটাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯ নিয়ে এমনই দড়ি টানাটানি খেলা চলছে। নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণে চিন্তিত আমজনতাকে যতবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিচ্ছেন যে বাংলায় এনআরসি হবে না, ঠিক গুনে গুনে ততবারই দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিরা হুংকার ছাড়ছেন, দেশজুড়ে এনআরসি হবেই, বাদ যাবে না কেউ। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাংলায় এনআরসি এবং সিএবি বিরোধী আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ২০ তারিখ তৃণমূল ভবনে বৈঠক।
বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সবচেয়ে বেশি বিরোধী রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। গোড়া থেকেই তাদের এই অনড় অবস্থান। অসমে এনআরসিতে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যাওয়ার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বারবার প্রতিবাদের হাতিয়ারে শান দিয়েছেন শাসকদলের নেতানেত্রীরা। উলটোদিকে, কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীরাও পালটা এ নিয়ে চাপের কথাই শুনিয়েছেন। আর তাতেই আতঙ্ক বেড়েছে রাজ্যের সীমান্তবর্তী জেলাগুলির বাসিন্দাদের। অসমে এনআরসি হওয়ার পর থেকেই তাঁরা নাগরকিত্ব প্রমাণের জন্য নথি জোগাড় করতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই তাঁদের আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘বাংলায় কোনও এনআরসি, সিএবি করতে দেব না, যতদিন আমরা আছি।’ এও বলেছিলেন, ‘এনআরসি আর সিএবি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।’ কিন্তু এই মুহূর্তে যখন সংসদের কাঠগড়া পেরিয়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইন হওয়া থেকে দু,একধাপ পিছিয়ে তখনও তৃণমূলের প্রতিবাদ অব্যাহত। এবং তা যে আরও কঠিন পরীক্ষা হতে চলেছে, বেশ বুঝতে পেরেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
সে কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঠিক করতে বসছেন আগামী ২০ তারিখ। দলের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ এবং জেলা সভাপতিদের হাজির থাকতে বলা হয়েছে সেদিনের বৈঠকে। সূত্রের খবর, ডিসেম্বরের শেষদিকে বিজেপির শীর্ষস্তরের নেতারা বাংলায় আসবেন সভা করতে। সেখানে অবশ্যই মূল বিষয় হিসেবে উঠবে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা। আর তার পালটা হিসেবে তৃণমূলের এখন সবচেয়ে বড় কাজ, এসব প্রচার থেকে সাধারণ মানুষকে বের করে নিয়ে গিয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করা। ২০ তারিখের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থেকে সেই নীল নকশাই স্থির করে দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.