Advertisement
Advertisement
পুজো কমিটি

আয়করের নামে পুজো কমিটিগুলিকে হেনস্তা, নাম না করে বিজেপিকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী

সম্প্রতি ফোরাম ফর দুর্গোৎসবকে ডেকে কর নেওয়ার প্রস্তাব দেন আয়কর বিভাগের কর্তারা৷

Mamata protests IT notice to Durga Puja committees
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 22, 2019 4:40 pm
  • Updated:July 22, 2019 7:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর চাঁদায় কর বসাতে চাইছে আয়কর দপ্তর৷ এর নেপথ্যে বিজেপি৷ সম্প্রতি পুজো কমিটিগুলিকে আয়কর দপ্তরের তলবের পরিপ্রেক্ষিতে নাম না করেই বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব মুখ্যমন্ত্রী৷ সোমবার নবান্ন সভাঘরে জেলা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে এর বিরোধিতা করেন তিনি৷

[আরও পড়ুন: শাসকদলের বিরুদ্ধে দিল্লিতে অভিযোগ, ‘শহিদ’ পরিবার নিয়ে রাজধানীর পথে বঙ্গ বিজেপি]

নবান্নে জেলা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আয়কর বিভাগকে দিয়ে অযথা পুজো কমিটিগুলিকে হেনস্তা করা হচ্ছে৷ দুর্গাপুজো একটা উৎসব, ব্যবসা নয়৷ এখানে কর নিয়ে কেন এত বাড়াবাড়ি? পুজোর চাঁদার উপরেও কর বসাতে চাইছে৷ মানুষ ভালবেসে পুজোর চাঁদা দেন৷ সেখানে করের ব্যপার থাকবে কেন?’ এপ্রসঙ্গে তিনি নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘ভোটের আগে মুখে হিন্দুত্ববাদ, আর ভোটের পর হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব নিয়েই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে৷ এটা মেনে নেওয়া যায় না৷’

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত মাস তিন, চারেক আগে৷ কলকাতার বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলোকে আলাদাভাবে চিঠি পাঠিয়েছিল আয়কর বিভাগ৷ তাতে কর সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল৷ ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের তরফে শাশ্বত বসু জানিয়েছেন, ‘ওই চিঠির কোনও জবাব না পেয়ে পরে ফোরামকেই চিঠি লেখা হয় আয়কর বিভাগের তরফে৷ আমাদের অধীনে কলকাতার ৩০০রও বেশি পুজো হয়৷ গত মঙ্গলবার আমাদের ডেকে পাঠানো হয়েছিল৷ আমরা সেখানে গিয়েছিলাম৷ ওনারা আমাদের জানান, পুজো কমিটিগুলির আয় অনুযায়ী কর কেটে নেওয়া হোক৷ আমরা তার উত্তরে জানাই, সবকটা পুজো কমিটির পক্ষে একাজ করা সম্ভব নয়৷ অনেক পুজোরই বাজেট কম৷ তাদের পক্ষে আলাদা করে অ্যাকাউন্ট্যান্ট রেখে এসব হিসেব করা কঠিন৷ তাছাড়া সারাবছর ধরেই পুজোর নানা কাজ হয় এবং অর্থ আদানপ্রদানও চলতে থাকে৷’

[আরও পড়ুন:বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু তরুণীর, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ]

এসব শুনে আয়কর কর্তারা প্রস্তাব দেন, অন্তত বড় পুজো কমিটিগুলো যেন আয়করের হিসেবনিকেশ রাখে এবং তা আয়কর বিভাগে জমা দেয়৷ আর সোমবার নবান্নে বৈঠক চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী আয়কর বিভাগের এই প্রস্তাব নিয়েই সরব হন৷ তাঁর যুক্তি, ‘দুর্গাপুজো কোনও ব্যবসা নয়, একটা উৎসব৷ এখানে করের প্রসঙ্গ আসতেই পারে না৷’ এর আগেও রাজ্য সরকারের তরফে পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়া নিয়ে একাধিক আপত্তি ওঠে৷ তা নিয়ে মামলা গড়ায় হাই কোর্টে পর্যন্তও৷ এরপর পুজোকমিটিগুলোকে এভাবে আয়কর বিভাগের নজরবন্দি করতে চাওয়ায় ফের বিতর্ক উসকে উঠছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement