সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে নদিয়ার দুটি কেন্দ্র নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া শাসকদল। কী হবে নির্বাচনের রণকৌশল? কীভাবে কাজ করলে জয়ের ব্যবধান বাড়বে? এই সব নিয়ে আলোচনা করতেই বৃহস্পতিবার নদিয়ার বিধায়ক, পুরপ্রধান ও কর্মীদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুটি আসন নিজেদের দখলে রাখতে বিধায়ক, পুরপ্রধান ও দলীয় কর্মীদের বিবাদ ভুলে কাজ করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: কৌটো হাতে ভোটে লড়ার টাকা তুলছেন জয়নগরের আরএসপি প্রার্থী সুভাষ নস্কর]
নবান্নে আয়োজিত এই বৈঠকে নেতাদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার বিষয়টি স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়েদেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কড়া ভাষায় বলেন, গোষ্ঠীবাজি চলবে না। নদিয়াতেও দলের অভ্যন্তরে বিভিন্ন কোন্দল রয়েছে। যেমন, চাকদহের দীপক বসু, রত্না দে অথবা শান্তিপুরের অজয় দে ও অরিন্দম ভট্টাচার্য বরাবরের বিবাদমান দুই গোষ্ঠী। তবে নেত্রীর নির্দেশ লড়াই না, বিবাদ ভুলে এক হয়ে কাজ কাজ করতে হবে কর্মীদের।
জানা গিয়েছে, বৈঠকে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে অসীম সাহাকে। রাণাঘাট কেন্দ্রে নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন দীপক বসু। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তিনটি বিধানসভা এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিধায়ক শংকর সিংকে। সেইসঙ্গে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রচারের বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন সাংসদ তাপস মণ্ডলকে। তবে দুটি লোকসভা কেন্দ্রের গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সিনিয়র দুই বিধায়ক শংকর সিং, গৌরীশংকর দত্ত ও মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসকে।
এদিন বৈঠকে প্রচারের বেশ কিছু সমস্যার কথাও তুলে ধরেন দলের বিধায়ক ও পুরপ্রধানরা। অভিযোগ, সরাসরি বুথস্তরের সঙ্গে সংযোগ করে যাবতীয় কাজ করছেন কৃষ্ণনগরের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। এবিষয়ে বিধায়ক এমনকি ব্লক সভাপতিরাও কিছু জানতে পারছেন না। ফলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাদের সমস্ত অভিযোগ শোনেন তৃণমূল নেত্রী। তেহট্ট, কৃষ্ণনগর, রাণাঘাট-সহ জেলার চার মহকুমার কোথায় কী অবস্থা বা কোথায় কী প্রয়োজন এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নদিয়ার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রায় এক ঘণ্টা চলে এই বৈঠক। নির্বাচনী প্রচারে কোন নেতা নদিয়ায় যাবেন? কীভাবে চলবে প্রচার প্রক্রিয়া? সেই নিয়ে আলোচনা করা হয় ওই বৈঠকে। সূত্রের খবর, বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নদিয়ার দুটি কেন্দ্রে অন্তত আঠেরোটি রাজনৈতিক সভা করা হবে। সেক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায় করবেন ছটি সভা, ফিরহাদ হাকিম করবেন আটটি, চারটি সভা করবেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বিরোধীদের কোন পথে আক্রমণ শানানো হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। তবে বৈঠকে ছিলেন না রানাঘাট ও কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.