সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গোলি মারো’ স্লোগান বিতর্কে বিজেপিকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইনডোরের দলীয় কর্মসূচি থেকে তাঁর হুঁশিয়ারি, “এটা দিল্লি নয়, এটা বাংলা। গুলি মারার স্লোগান দিলে শান্তি পেতে হবে।” তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, “গোলি মারো-স্লোগান প্ররোচনামূলক।” এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, “রবিবার কলকাতার রাস্তায় যারা এই স্লোগান দিয়েছে, তাদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকিদেরও করা হবে।” প্রসঙ্গত, রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় যোগ দেওযার আগে কলকাতার রাস্তায় ‘দেশ কে গদ্দার কো, গোলি মারো….’ স্লোগান দেয় কিছু বিজেপি সমর্থক। এরপরই বিতর্ক মাথাচারা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সিএএ নিয়ে প্রচার করতে রবিবারই শহরে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিনই কলকাতার শহিদ মিনারে সভা করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বিজেপি কর্মীরা সভাস্থলে জমায়েত শুরু করে। বেলা গড়াতেই একে একে সমস্ত মিছিল গিয়ে মিশে যায় শাহর সভাস্থলে। অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা সভায় যাওয়ার পথেই কলকাতার রাজপথ মুখরিত হয় ওঠে বিতর্কিত গোলি মারো স্লোগানে। এমনকী পুলিশের সামনেই এই বিতর্কিত স্লোগান দিতে দিতে শহিদ মিনারের সভাস্থলে ঢুকছিলেন গেরুয়া শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন ওঠে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।
কর্মসূচির মঞ্চ থেকে দিল্লিতে এই স্লোগান দেওয়ায় কেন্দ্র সরকারের ভূমিকাকে তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। “দিল্লিতে যারা উসকানিমূলক স্লোগান দিয়েছে, তারা শাস্তি পায়নি। কিন্তু কলকাতার রাস্তায় যারা এই স্লোগান দিয়েছে, তারা কড়া শাস্তি পাবেন”, বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর কথায়, “ওরা কোথায় থাকে, কোথা থেকে এসেছে তা আমি জানি। দিল্লির সরকারের মতো আমরা চুপ করে থাকব না।” স্লোগান প্রসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, “গদ্দার কারা, এটা কে ঠিক করবে? কাকে গুলি মারা হবে? জনগণ ঠিক করবে কারা গদ্দার।” স্বভাবতই তাঁর এহেন কড়া বার্তায় খুশি বাংলাবাসী।
প্রসঙ্গত, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে গোলি মারো স্লোগান দিচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এ নিয়ে বিতর্ক মাথাচারা দিয়েছে। এমনকি দিল্লির হিংসার নেপথ্যেও এ ধরণের স্লোগান ছিল বলেও অভিযোগ উঠেছে। অথচ আদালতের নির্দেশ সত্বেও উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়া বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু বাংলার এই স্লোগান দেওয়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী যে এধরণের প্ররোচনামূলক মন্তব্য সহ্য করবেন না, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলন রবিবারই। এবার বাকিদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.