স্টাফ রিপোর্টার: দক্ষিণেশ্বরের মতো সাজবে কালীঘাট। মন্দির সংস্কার হচ্ছে। এখানেও স্কাইওয়াক হবে। তার জন্য প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে। পুরো ঢেলে সাজবে মন্দির চত্বর। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বুধবার বিধানসভায় বলেন, “যাঁরা বলেন আমরা নাকি একটা অংশকে দেখি, তাঁদের বলি এইসব কাজ ধর্মনিরপেক্ষতার নজির। দক্ষিণেশ্বর ও তারকেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকার উন্নয়ন হচ্ছে। দক্ষিণেশ্বরে ৬৩ কোটি ১০ লাখ টাকা দিয়ে স্কাই ওয়াক করেছি। দুই কোটি ৪৮ লাখ দিয়ে ভোগ ঘর গড়া হয়েছে। সারদা মায়ের ঘাটের জন্য ৮ কোটি ১০ লাখ এবং নদীঘাট উন্নয়নেও প্রায় ১০ কোটি খরচ হয়েছে। তারকেশ্বর মন্দির উন্নয়নে পাঁচ কোটি ৯২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আলোকসজ্জা ও আনুষঙ্গিক উন্নয়নে চার কোটি ৭৩ লাখ, মন্দির যাওয়ার রাস্তার জন্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তারাপীঠে তিন কোটি এবং কঙ্কালীতলায় দুই কোটি ৯২ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় আক্রান্ত শিক্ষককে ফোন মমতার, ৫০ হাজার টাকা সাহায্য ঘোষণা]
বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, “দক্ষিণেশ্বরের স্কাইওয়াকের সময় রানি রাসমণির একটি মূর্তি দেন মন্দির কমিটির লোকজন। সেটি স্থাপনের জায়গা দেখছে কামারহাটি পুরসভা। সেখানে একটি পার্কে সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তি ছিল। বিধানচন্দ্র রায়ের আমলে স্থাপিত সেই মূর্তিটি তখন সরাতে হয়। ওই পার্কেই ফের মূর্তিটি বসানো হবে।” ওয়াকফ বোর্ড থেকে যেমন মোয়াজ্জেম ভাতা দেওয়া হয় তেমনই সেবাইত বা পুরোহিত ভাতার প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, “যদি সব মন্দির কমিটি বা ট্রাস্ট এক জায়গায় আসে এবং একমত হয় তো সেটা দেওয়া যেতে পারে।” বিধায়ক অসিত মিত্রর প্রশ্নের জবাবে কলকাতার কোনও পুকুর বা জলাজমি এখন ভরাট হচ্ছে না বলে দাবি করে মন্ত্রী বলেন, “এমন কাজ করলে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে। একটা সময় জলাজমি ভরাট অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। এখন তা নেই বললেই চলে। আমরা বরং অভিযোগ পাওয়ার পরও থানার ওসি ব্যবস্থা না নেওয়ায় পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি জানিয়েছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.