সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাদ গেল না প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু পরবর্তী কর্মসূচিও। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অটলবিহারী বাজপেয়ীকে নিয়ে যা চলছে, তা অত্যন্ত অসম্মানজনক। কেন্দ্রের শাসকদলকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘খুনোখুনির রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেওয়া হবে।’ আগামী লোকসভা ভোটে ছাত্র সমাজকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[ অটলের স্মরণসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ, মমতার কালীঘাটের বাড়িতে বিজেপি]
মঙ্গলবার সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসে কলকাতার মেয়ো রোডে জনসভা করল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বা টিএমসিপি। জনসভার প্রধান বক্তা মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবছর কলেজের ভরতিতে তোলাবাজি ও দুর্নীতি নাম জড়িয়েছে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের। পড়ুয়াদের অভিযোগ, শহর ও শহরতলির কলেজগুলিতে কাউন্সেলিংয়ের জন্য টাকা নিয়েছেন টিএমসিপি নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ভরতিতে তোলাবাজি ও দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছিল পুলিশ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, যে খোদ টিএমসিপির তৎকালীন রাজ্য সভানেত্রী জয়া দত্তকে সরিয়ে দিয়েছে শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্ব। স্বাভাবিকভাবে টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেন? সেদিকে নজর ছিল রাজনৈতিক মহলের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, ‘টাকা পয়সা সঙ্গে সংগ্রাম তুলনা চলে না। লবি করার দরকার নেই। কাজ করলেই হবে। তিনি নিঃস্বার্থ কর্মী চান।’
টিএমসিপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠান ছাত্রদের মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছে ঠিকই। তবে বিজেপিকে আক্রমণের ঝাঁঝটাই ছিল অনেক বেশি। বস্তুত, নিজের ভাষণে কেন্দ্রের শাসকদলকে আক্রমণেই বেশি সময় ব্যয় করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এনসিআর, নোটবন্দি-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সুর চড়ালেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশভাগের জঘন্য চক্রান্ত চলছে। অসম থেকে ভারতীয়দের তাড়িয়েছে বিজেপি। বাংলা থেকেও তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিজেপি জমানায় ১৪.৭ লক্ষ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে। রেকর্ড দাম বেড়েছে পেট্রোপণ্যের, টাকার দাম কমছে। তাঁর হুঁশিয়ারি, ভারতীয়দের তাড়ানোর চেষ্টা করলে ছেড়ে কথা বলা হবে না। ক্ষমতা থাকতে যা ইচ্ছে তাই করছে বিজেপি। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেওয়া হবে। এই সূত্রে বামেদেরও আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সংযোজন, সিপিএমের হার্মাদরাই এখন বিজেপির জল্লাদ। কিন্তু, জয়া দত্তের জায়গায় টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন? তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তৃণমলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আপাতত টিএমসিপি কাজকর্ম দেখভালের জন্য তিনি একটি কমিটি গড়ে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সিকে।
[আট বছর ধরে মৃত বাবার পেনশন তুলছে ছেলে]
ছবি: পিন্টু প্রধান
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.