ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা থেকে ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ যাওয়ার প্রতিবাদে আজ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরে সিঁথি থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত পদযাত্রায় হাঁটবেন তিনি। সঙ্গে থাকবে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বও। আর এই মিছিলের নিরাপত্তা নিয়েই আপাতত সরগরম রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।
মুখ্যমন্ত্রীর এনআরসি বিরোধী মিছিলে হামলা হতে পারে। আক্রান্ত হতে পারেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান স্বয়ং। আর সেই আশঙ্কা থেকেই আজ সিঁথি-শ্যামবাজারের রাস্তার দু’ধারে বসছে ব্যারিকেড। সাড়ে চার কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা ব্যারিকেডে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। বুধবার বিকেলেই পূর্ত দপ্তরের তরফে এনিয়ে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। টেন্ডার পাওয়া সংস্থা সকাল দশটার মধ্যেই ব্যারিকেড তৈরির কাজ শেষ করবে বলে সূত্রের খবর।
আর এই ব্যারিকেড তৈরির দরপত্র নিয়েই বিতর্ক বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে। কেন একটি রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য তড়িঘড়ি রীতিমতো টেন্ডার ডেকে ব্যারিকেড বসাতে হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলছে বিরোধী শিবিরের নেতৃত্ব। বিজেপির তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তৃণমূলের কর্মসূচি ঘিরে কেন এমন আয়োজন? এভাবে দরপত্রের মাধ্যমে রাস্তায় ব্যারিকেড বসানোর অর্থ কী? একই প্রশ্ন উঠেছে সিপিএমের তরফেও। তাহলে কি এভাবে টেন্ডার ডেকে নিজের পছন্দের সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেওয়ার কৌশল করল রাজ্যের শাসক নেতৃত্ব? এই প্রশ্নও মাথাচাড়া দিচ্ছে।
বিরোধীদের এসব সমালোচনার জবাবও মিলেছে প্রশাসনের তরফে। কর্তাদের দাবি, নিরাপত্তার কারণে পূর্ত দপ্তরকে এই ব্যারিকেড তৈরির নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের ‘ডিরেক্টরেট অব সিকিওরিটি’। সেই প্রস্তাব মেনে পূর্ত দপ্তর ব্যারিকেডের জন্য দরপত্র ডেকেছে। কলকাতা সেন্ট্রাল ডিভিশনের তরফে দরপত্র সংক্রান্ত যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলে ব্যারিকেডের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। রাজনৈতিক মিছিল হলেও প্রশাসনের একাংশের ব্যাখ্যা, মুখ্যমন্ত্রীর জেড প্লাস সুরক্ষা রয়েছে। তাই পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হিসেবে টেন্ডার ডেকেই ব্যারিকেড বসাতে হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.