ছবি: ফাইল
দীপঙ্কর মণ্ডল: সংঘাতে ইতি টেনে সন্ধির পথে হাঁটলেন রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী। রাজভবনে জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দীর্ঘ এক ঘণ্টা ধরে আলোচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলোচনা বেশ সদর্থক হয়েছে বলে টুইট করে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে ঠিক কী বিষয় নিয়ে দু’জনের কথা হয়েছে, সে বিষয়ে নবান্ন কিংবা রাজভবনের তরফে কোনও ইঙ্গিত মেলেনি। তবে সোমবার রাজ্যের প্রশাসনিক ও সাংবিধানিক প্রধানের এই বৈঠক সাম্প্রতিককালে দ্বন্দ্বের মাঝে ব্যতিক্রমী হয়ে রইল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
Had an extremely satisfying an hour long interaction with Hon’ble Chief Minister Mamata Bannerjee at Raj Bhawan @MamataOfficial pic.twitter.com/2mTEPJTaZa
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 17, 2020
বহু বিষয় বহুবার মতানৈক্য হয়েছে রাজভবন, নবান্নের মধ্যে। উভয়ের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। কখনও প্রকাশ্যে, কখনও বা ঘনিষ্ঠ মহলে রাজ্য সরকারের নানা কাজ, পদক্ষেপকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন রাজ্যপাল ধনকড়। পালটা তাঁকে জবাবও দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রীরা। সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেই উদ্যোগী হয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনার টেবিলে মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকেছেন রাজ্যপাল। কফি খেতে খেতে একান্তে আলোচনারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু বৈঠকে বসাতে পারেননি। বারবারই সেই আমন্ত্রণ ফিরিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য জিতে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সোমবার দুপুর বারোটা নাগাদ রাজভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্যপাল। এরপর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দু’জনের মধ্যে বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, গণপিটুনিতে কড়া শাস্তি এবং তফসিলি জাতি-উপজাতিদের জন্য বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে রাজ্যপালের সই করা নিয়ে আলোচ্য বিষয়। তবে শেষমেশ তা নিয়েই উভয়ের মধ্যে কথা হয়েছে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত করেনি কোনও পক্ষই। বৈঠক শেষে মমতা রাজ্যপালের স্ত্রী সুদেশ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করেন। উভয়ের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় হয়। তারপর বিদায় নেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের বৈঠকের পর রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, একের পর এক ঘটনায় বারবার যেভাবে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে নবান্ন-রাজভবন, তার প্রভাব কিছুটা হলেও পড়েছে কাজে। তাই রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে সংঘাত কাটিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার পথে হেঁটেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই ধারা বজায় থাকলে, আখেরে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো আরও মজবুত হবে এবং তাতে রাজ্যেরই লাভ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.