তৃতীয়বার পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় তৃণমূল সরকার। নন্দীগ্রাম থেকে কয়েকশো ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার নিজের মন্ত্রিসভা সাজিয়ে নেওয়ার পালা। ১৬ নতুন মুখ-সহ মোট ৪৩ জন মন্ত্রীর শপথগ্রহণ হয়ে গেল রাজভবনে। এই সংক্রান্ত সব খবরের খুঁটিনাটি দেখুন:
রাত ৮.৫১: বনমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এর আগে এই পদে ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বন সহায়ক পদে নিয়োগে বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। দল বদলে রাজীব এখন বিজেপিতে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলবে বলে জানিয়ে দিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
বিকেল ৪.২৯: আরও ২১০ টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রট এসেছে রাজ্যে। বিভিন্ন শিল্প সংস্থা কোভিড মোকাবিলায় রাজ্য সরকারকে সাহায্য করছে। এর জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন মুখ্যসচিব।
বিকেল ৪.২৩: কোভিড মোকাবিলা রাজ্যে নতুন অক্সিজেন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম তৈরি হবে। প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজে বসবে অক্সিজেন প্লান্ট। বিভিন্ন ক্লাবে তৈরি হবে অক্সিজেন বুথ। নবান্নে আলোচনার পর সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুর ৩.৪৪: মন্ত্রিত্বে সিলমোহর। নবান্ন থেকে জারি হল বিজ্ঞপ্তি।
দুপুর ১.৩৫: নতুন মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি দায়িত্ব পেলেন ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের, তিনি হলেন প্রতিমন্ত্রী। হুমায়ুন কবীর পেলেন কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব। ফিরহাদ হাকিমের হাতে আবাসন, পরিবহণ।
দুপুর ১.২৫: ইন্দ্রনীল সেন পেলেন পর্যটন, তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের দায়িত্ব। উজ্জ্বল বিশ্বাস কারামন্ত্রী। মানস ভুইঞা হলেন জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর।
দুপুর ১.১৩: অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রী অমিত মিত্র। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রী হচ্ছেন ব্রাত্য বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হচ্ছেন বনমন্ত্রী। সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের নতুন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা।
দুপুর ১.০৮: মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টনের কাজ শেষ। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতে রইল স্বরাষ্ট্র, পুলিশ, পার্বত্য বিষয়ক, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের মতো বেশ কয়েকটি দপ্তর।
দুপুর ১.০৩: বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। কোভিড মোকাবিলায় তাঁদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা।
দুপুর ১২.৩৫: প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্য়ায় হচ্ছেন ডেপুটি স্পিকার। চিফ হুইপ নির্মল ঘোষ, ডেপুটি চিফ হুইপ তাপস রায়। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। পার্থ ভৌমিক, অসীমা পাত্রকে রাজ্য সরকারের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়ার ঘোষণা করলেন তিনি।
দুপুর ১২.৩১: বিজেপির বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটা সরকার গঠনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন কেন্দ্রীয় দল রাজ্যে? প্রশ্ন তুললেন তিনি।
দুপুর ১২.২৫: সম্পূর্ণ লকডাউনের পক্ষে নন মুখ্যমন্ত্রী। অনেক মানুষ বিপদে পড়বেন। তবে কড়াভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
দুপুর ১২.১৪: মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক শেষ। কোভিড মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রত্যেক মেডিক্যাল কলেজে নিজস্ব অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির পরামর্শ মমতার।
বেলা ১১.৪২: কোভিড বিধি মেনে একে একে নবান্নে ঢুকলেন নতুন মন্ত্রীরা। সভাঘরে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কাকে কোন দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা স্থির করে দেবেন।
বেলা ১১.০৯: প্রশাসনিক পদ থেকে সোজা জনপ্রতিনিধি। এই লড়াই, সাফল্য প্রত্যাশিত ছিল। প্রথমবার বিধায়ক হয়ে প্রতিক্রিয়া আইপিএস হুমায়ুন কবীরের। ডেবরা থেকে তিনি আরেক আইপিএসক হারিয়ে বিধায়ক হলেন।
বেলা ১১.০৫: রাজভবনে অনুষ্ঠান শেষে চা-চক্রে যোগদান মন্ত্রীদের। কিছুক্ষণ সেখানে থেকেই তাঁরা সকলে নবান্নের উদ্দেশে। নবান্ন সভাঘরে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আজই দায়িত্ব বণ্টন করার সম্ভাবনা। কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলাই মূল লক্ষ্য, মন্ত্রীপদের দায়িত্ব নিয়ে সকলেই জোর দিলেন এই দিকে।
বেলা ১১.০১: অনুষ্ঠান শেষে একান্তে কথা বললেন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী।
সকাল ১০.৫০: স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং প্রতিমন্ত্রীদের একইসঙ্গে শপথ পড়ালেন রাজ্যপাল। নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে শপথ নিলেন তাঁরা। কোভিড আবহে অতি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান। এতদিনের রীতি মেনে
রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে শপথ গ্রহণ হল না। ৭ মিনিটে ৪৩ জনের শপথ পর্ব শেষ।
সকাল ১০.৪৭: শুরু শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। প্রথমেই ভারচুয়ালি শপথ নিলেন অমিত মিত্র।
সকাল ১০.৪৬: পূর্ণমন্ত্রী, স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পদে কে কে শপথ নেবেন, তার তালিকা পড়লেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকাল ১০.৪৪: থ্রোন রুমে প্রবেশ রাজ্যপাল ধনকড়ের। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে অভিবাদন জানান। বেজে উঠল জাতীয় সংগীত। একই মঞ্চে ধনকড়-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকাল ১০.৩৪: শপথ অনুষ্ঠান শুরুর আগে শেষ মুহূর্তে আলোচনা সেরে নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব ও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
সকাল ১০.৩০: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছলেন রাজভবনে। ভাবী মন্ত্রীদের সঙ্গে একই আসনে বসলেন তিনিও। শপথের আগে তাঁকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলেন বেশ কয়েকজন। ”কোভিড সকলে মেনে চলো, শপথ নিয়ে কেউ প্রণাম করতে এসো না”, বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
সকাল ১০.২২: রাজভবনে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রাজ্যপাল জগদীর ধনকড় সবাইকে শপথবাক্য পাঠা করাবেন থ্রোন রুমে।
সকাল ১০: রাজভবনে হাজির ভাবী মন্ত্রীরা। কোভিড আবহে অনাড়ম্বর শপথ অনুষ্ঠান। ঐতিহাসিক থ্রোন রুমেই হবে শপথবাক্য পাঠ।
সকাল ৯.৪৮: করোনা আক্রান্ত ব্রাত্য বসু রয়েছেন আইসোলেশনে। রাজভবনে নয়, ভারচুয়াল মাধ্যমে তিনি মন্ত্রিত্বের শপথ নেবেন। একইভাবে শপথ নেবেন আরও দুই মন্ত্রী – অমিত মিত্র, রথীন ঘোষ। অসুস্থতার কারণে এই সিদ্ধান্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.