অভিরূপ দাস: ‘মোদের দেশ’, ‘মানুষ পাখি’, ‘মিলন তীর্থ’, ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’। এবার পড়তে পারবে কচিকাঁচারা। ছোটদের নিয়ে লেখা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ছড়া-কবিতার বই রাখা হবে পুরসভার স্কুলগুলিতে। পুরসভার শিক্ষা দপ্তরের অভিমত, সহজ-সরল ভাষায় লেখা এই ছড়াগুলো ছোটদের বই পড়ার আগ্রহ বাড়াবে।
কলকাতা পুরসভার মোট স্কুলের সংখ্যা ২৪২। তার মধ্যে ১৮টি স্কুলকে অতি সম্প্রতি মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য স্কুলের সঙ্গে। পরের ধাপে আরও দশটি স্কুলকে মিশিয়ে দেওয়া হবে। যে সমস্ত স্কুলে ছাত্র কম সে সমস্ত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পুরসভার অন্য স্কুলে ভরতি করানো হচ্ছে। মূলত পঠন-পাঠনের উন্নতি সাধনেই এই স্কুলগুলিকে একত্রিত করা হচ্ছে। এদিকে অতি সম্প্রতি লাইব্রেরি শুরু করেছে কলকাতা পুরসভার স্কুল। এতদিন কলকাতা পুরসভার স্কুলে পাঠাগার ছিল না। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি স্কুলে শুরু হয়েছে পাঠাগার। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছড়ার বই রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) সন্দীপন সাহা জানিয়েছেন, লেখা কম ছবি বেশি। শিশুদের জন্য এমন পিকটোরিয়াল বই আমরা রাখছি। স্কুলের সময়সীমার মধ্যে একটা নির্দিষ্ট সময় রাখা হচ্ছে। সেটাই ‘লাইব্রেরি ক্লাস’। বাচ্চারা ওই সময় লাইব্রেরিতেই সময় কাটাবে। প্রাথমিকভাবে শুরু হয়েছে পাঁচটি লাইব্রেরি। ধাপা আর ট্যাংরা এলাকার তিনটে বিল্ডিংয়ে পাঁচটি স্কুল চলে। সেই পাঁচটি স্কুলেই শুরু হয়েছে লাইব্রেরি। এই লাইব্রেরির নাম রাখা হয়েছে ‘গল্পঘর’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু নয়, একাধিক শিশু সাহিত্যিকের বই রাখার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভার শিক্ষা দপ্তর। বিশেষ করে যে সমস্ত বইয়ে ছবি বেশি লেখা কম এমন বইকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে মনীষীদের ছবি দিয়ে পরিচয় লেখা এমন বইও রাখতে চায় পুরসভার স্কুল। কলকাতা পুরসভার স্কুলে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্র ছাত্রীরাই আসে পুরসভার স্কুলে। সে ক্ষেত্রে এই লাইব্রেরির গুরুত্ব অনেক।
মেয়র পারিষদ সন্দীপন সাহা জানিয়েছেন, যারা এই সমস্ত স্কুলে আসে তাদের বাড়িতে পড়াশোনার পরিবেশ নেই। ফলে বিদ্যালয়ই তাদের মধ্যে পড়ার অভ্যেস তৈরি করার প্রধান মাধ্যম। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছোটদের মধ্যে আগ্রহ তৈরি করা। সে কারণেই ছবি দেওয়া, এবং সহজ-সরল ভাষায় লেখা বই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। উল্লেখ্য, ছোটদের জন্য লেখা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক বই রয়েছে। কোন কোন বই রাখা হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে শীঘ্রই। বিষয়বস্তু এবং ভাষা-দুইয়ের নিরিখেই লেখিকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাপ্তি বিশাল। তাঁর লেখা ‘নামাঞ্জলি সমগ্র’, ছোটদের ছড়ার বই ‘শিশুদোলা’, কবিতার বই ‘আমি’ বেস্ট সেলার। শেষ কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলাতেও মুখ্যমন্ত্রীর ছ’টা বই প্রকাশ হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.