ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী। হাজারও ব্যস্ততা। এর মাঝেও সৃষ্টির জন্য সময় বেছে নেন। রং, তুলিতে ক্যানভাস ভরিয়ে তোলেন নিজের কল্পনায়। আবার গানও বড় ভালবাসেন। বিশেষ করে রবীন্দ্রসংগীত। কোনও সফরে গেলে, কিংবা মিটিংয়ের শেষে সুরেলা আসর জমাতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এমনকী সমাবেশেও তাঁকে কণ্ঠ মেলাতে দেখা গিয়েছে। এবার সেই সুরের ছোঁয়া মিলতে চলেছে এবারের দুর্গাপুজোয়। এবার পুজোর গান লিখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর হবে না, বিধানসভায় ঐতিহাসিক ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর]
পুজোর অ্যালবাম বাংলার বহুদিনের প্রচলিত রীতি। একসময় পুজোর সময় সলিল চৌধুরি, কিশোর কুমার, আশা ভোঁসলের মতো শিল্পীদের অ্যালবামের অপেক্ষায় থাকতেন দর্শকরা। এখনও সে রীতি প্রচলিত। এবার পুজোর গানের সেই অ্যালবামের তালিকায় ঠাঁই পাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গানগুলিও। জানা যাচ্ছে, অ্যালবামে আটটি গান থাকছে। গাইছেন ইন্দ্রনীল সেন। অ্যালবামের নাম এখনও জানা না গেলেও তিনটি গানের হদিশ মিলেছে। রৌদ্রছায়ায় সকালবেলায়, পাল তোল পাল তোল রে মাঝি, ও আকাশ- এই তিনটি গানের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ।
[জনগণ ছাড়া কাউকে কৈফিয়ত নয়, লোকায়ুক্ত বিল পাশ করিয়ে সাফ কথা মুখ্যমন্ত্রীর]
নিজের গান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই গানের বইও আছে তাঁর। প্রায় সাত বছর সংসদের পেনশন নেন না তিনি। প্রতি মাসে ৬৫-৭০ হাজার টাকা পাওনা হয় তাঁর। তা নেন না। এরপর বিধানসভার মাইনেও রয়েছে। তাও নেন না মুখ্যমন্ত্রী। পুরোটাই দান করে দেন। তাঁর রোজগার বলতে আঁকা কিছু ছবি আর কবিতা, গানের বইগুলি। তা থেকেই কিছু মেলে। গানের রয়্যালিটি বাবদ তিনি পেয়েছেন প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা। তবে টাকার জন্য নয়, ভালবাসার তাগিদেই গান, কবিতা লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার পুজোতেও সেই খাতিরেই শ্রোতাদের এই উপহার দিতে চলেছেন তিনি।
[দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনায় সাংবাদিককে হুমকি, শহরে গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.