সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন একাধিকবার। এবার কলম ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’র শারদ সংখ্যায় এই প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, “আমার হৃদয় জ্বলে ছারখার। মনে হচ্ছিল পরিবারের কাউকে হারালাম।” কেন তড়িঘড়ি ‘অপরাজিত আইন’ করা হল, সে ব্যাখ্যাও রয়েছে ওই বিশেষ প্রতিবেদনে।
বুধবার নজরুল মঞ্চে ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যা প্রকাশ অনুষ্ঠানে তৃণমূল কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মমতা বলেন, “জাগো বাংলার শারদ সংখ্য়ায় অনেক ইনফরমেশন থাকে। অনেক কষ্ট করে এটা হয়। আমরা এক পয়সারও বিজ্ঞাপন নিই না। যাঁরা লেখেন, তাঁরাও চান লেখাগুলো পড়ুন।” সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “অনেক বানভাসি মানুষ আছেন। তাদের পাশে সাধ্যমতো থাকুন। আমরা অনেক করেছি। আমাদের দল অনেক করেছে। আমরা চুপ করে কাজ করেছি। আমাদের দল অনেক করেছে। আমরা চুপ করে কাজ করছি। আমি মনে করি চুপ করে কাজ করা উচিত। বেশি বকবক করা উচিত নয়।” কেন উৎসব পালন করা হচ্ছে, সে ব্যাখ্যাও দেন মমতা।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট নাইট শিফট ছিল আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের। ওই রাতে হাসপাতাল থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। পরদিন ওই হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সেই সময় প্রায় বিবস্ত্র ছিলেন তিনি। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার পরই তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্তানহারা বাবা-মায়ের দেখা করেন মমতা। সুবিচার হবে বলে আশ্বাসও দেন তিনি। তবে ইতিমধ্যে রুজু হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্ট ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। বর্তমানে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই ঘটনার তদন্ত করছে। তবে প্রায় দুমাস হতে চললেও, ঘটনাটি এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। কীভাবে খুন হলেন তরুণী চিকিৎসক, এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। সিবিআইয়ের ভূমিকায় কিছুটা হলেও অসন্তুষ্ট জুনিয়র ডাক্তাররাও। সুবিচারের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতিতে শামিল। মহালয়ায় কলকাতার রাজপথে মহামিছিল শেষে প্রয়োজনে দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.