সন্দীপ চক্রবর্তী: রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ পদাধিকারীর প্রতি রাজ্যপালের আক্রমণের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কড়া ভাষায় জগদীপ ধনকড়কে (Jagdeep Dhankhar) ৯ পাতার একটি চিঠি লিখে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ডিজিপিকে নিয়ে রাজ্যপালের মন্তব্য, মনোভাব যে তাঁর কাছে হতাশাজনক, অবমাননাকর, তা স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আর তাঁর এই চিঠি নিয়ে রাজভবন-নবান্ন সংঘাত আরও চড়ল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।
আগেও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের কার্যকলাপ নিয়ে সুর চড়িয়েছেন জগদীপ ধনকড়। কখনও পুলিশ শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে, কখনও বা শাসকদলের জন্যই দক্ষ পুলিশ আধিকারিকরা ঠিকমতো কর্তব্য পালন করতে পারছেন না বলে একাধিকবার রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন তিনি। শুক্রবারের টুইটে তাঁর নিশানায় ছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। তাঁর অভিযোগ ছিল, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোটেই উদ্যোগী নন ডিজিপি। তাঁর এই ভূমিকা যে দুর্ভাগ্যজনক, টুইটে তাও প্রকাশ করেছিলেন ধনকড়।
Found DGP @MamataOfficial assertion “West Bengal police firmly adheres to the path laid down by law “ unacceptable.
Hope mindful of conduct he updates me on Sept 26 unlike earlier occasions of which I have taken serious note. @WBPolice @KolkataPolice pic.twitter.com/Mlx7ZaQB9P
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) September 25, 2020
এবার ডিজিপি’র পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যপালকে ৯ পাতার কড়া চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে নিজের ক্ষোভ এতটুকুও আড়াল করেননি তিনি। ফের মনে করিয়ে দিয়েছেন যে সরকার জনগণের নির্বাচিত। তিনিও নির্বাচিত হয়েই মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছেন। অথচ রাজ্যপাল সম্পূর্ণ মনোনীত পদ। তাই আইন মেনে সাংবিধানিক কাজ করা উচিত। প্রশাসনিক কাজে অযাচিতভাবে কোনও ভূমিকা নেওয়া মোটেই কাম্য নয়।
সেইসঙ্গে ধনকড় যেভাবে প্রকাশ্যে ডিজিপি’র বিরুদ্ধে টুইটারে সরব হয়েছেন, তা নিয়েও যথেষ্ট আপত্তি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠির প্রতিটি লাইনে রীতিমত কড়া শব্দ প্রয়োগ করা হয়েছে। রয়েছে একাধিক রেফারেন্সও। সবমিলিয়ে, রাজ্য প্রশাসন ও রাজ্যপালের সংঘাতের আঁচে নতুন করে ঘি ঢালল মমতার এই কড়া চিঠি। অন্যদিকে, রাজ্যপালের এই ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মন্তব্য, “রাজ্যপাল যে কত অপদার্থ, তা প্রমাণ হয়ে গেল। ওনার কাজ মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দেওয়া। তা না করে নিজের রাজ্যের সমালোচনা করছেন। উনি আসলে একটি রাজনৈতিক দলের অনুগত। রাজ্যপালের আসনের গরিমা উপলব্ধির মত বোধ বা স্পৃহা ওনার নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.