ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: চব্বিশে লোকসভার লড়াই (Lok Sabha Election 2024)। দিল্লি জয়ের যুদ্ধ। আর তার প্রস্তুতিতে এখন থেকেই সরগরম হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। ইতিমধ্যেই অ-বিজেপি দলগুলি তৈরি করেছে INDIA জোট। তার অন্যতম বড় শরিক এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল (TMC)। বঙ্গেও সেই দামামা বেজে গিয়েছে। রবিবার উত্তম মঞ্চে তৃণমূলের কনক্লেভ থেকে আওয়াজ উঠল – ‘বলছে বাংলার জনতা, প্রধানমন্ত্রী হোক মমতা’। FAM-এর মঞ্চে বক্তব্য রাখলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
বিজেপির বিরুদ্ধে জোরদার লড়াইয়ের বার্তা দিয়ে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, ”পরেরবার স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় আর দাড়িওয়ালা লোকটা ভাষণ দেবে না ‘মিত্রোঁ’ বলে। বাংলায় খুন খারাপি, সন্ত্রাসের কথা বলছেন। রাতে শুয়ে শুয়ে বাংলার কথাই ভাবেন। গত দেড় মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেফারেন্স ছাড়া মোদি কোনও বক্তব্য রাখেননি। কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন যে তাঁকে পালটে দিতে পারে একমাত্র বাংলার বাঘিনী, যার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২১ জুলাইয়ের আগের দিন ‘দিদি’ আমাকে বললেন, ওই কথাটা বলবে না। কিন্তু আমাদের হৃদয়ের আওয়াজ কীভাবে থামাবেন? প্রধানমন্ত্রী পদে যোগ্যতম প্রার্থীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বলছে বাংলার জনতা, প্রধানমন্ত্রী হোক মমতা।”
দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বক্তব্য, ”জোট জমানা শুরু হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদার। তিনি বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার চাই না। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চাই। কিন্তু আপনারা তো ঘরের লোক। এই ব্যানারের উপরে যা লেখা আছে সেটা হতেও পারে। জ্যোতি বসুর নাম যখন উঠল প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য, তখন আপনাদের সাংসদ ক’জন ছিল কমরেড? ২০০? তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারের জন্য এগোবে না। কিন্তু আমরা বিয়াল্লিশে ৪২টা আসন পাওয়ার লক্ষ্যে এগোব।”
তবে এ বিষয়ে কুণাল ঘোষের আরও বক্তব্য, ”আজকের নতুন প্রজন্ম, যারা রাজনীতিতে এসেছে, সিপিএম জমানায় কলঙ্কিত দিনগুলোর কথা তাঁদের মনে করিয়ে দেওয়া দরকার। তাঁদের জানানো দরকার, রক্তমাখা ভাত খাইয়েছিল নিরুপম সেনরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব প্রচার করুক। মরিচঝাঁপি, বিজন সেতুর কথা মনে করিয়ে দিন। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, বাসন্তী, নেতাইয়ের গণহত্যা। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ইংরেজি তুলে দিয়েছিল, কম্পিউটার তুলে দিয়েছিল। আর এরা শিক্ষার দুর্নীতির কথা বলে? সিপিএম-কংগ্রেস যদি মনে করে, ওখানে হাতে হাত ধরে বিজেপিকে সরানোর পর এখানে দুই দল তৃণমূলকে পিছন থেকে ছুরি মারবে, তাহলে কিন্তু ভাবতে হবে তাঁদের।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.