ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: চলতি সপ্তাহে জোড়া পর্যালোচনা বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রথমটি ৭ সেপ্টেম্বর। মন্ত্রী ও জেলাস্তর পর্যন্ত আমলাদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক। ৮ সেপ্টেম্বর, দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক। উদ্দেশ্য একটাই, পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রশাসন ও দলীয় স্তরে কাজের পর্যালোচনা করে উন্নয়ন যজ্ঞের সুফল সর্বত্র পৌঁছে দেওয়া। প্রকল্পগুলিকে সময়ে শেষ করা।
৭ তারিখ প্রশাসনিক বৈঠক বসছে নবান্ন সভাঘরে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের কাছে প্রত্যেক দপ্তর থেকে রিপোর্ট জমা পড়েছে। সেগুলি স্ক্রুটিনির কাজও শুরু হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও আমলাদের নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কোন প্রকল্পের কাজ কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, কোন গতিতে এগোচ্ছে, সময়ে শেষ করা যাবে কি না, তা খতিয়ে দেখার পালা চলছে। প্রশাসনিক সভায় উপস্থিত থাকবেন সব মন্ত্রী ও দপ্তরের সচিবরা। উপস্থিত থাকবেন রাজ্য পুলিশের ডিজি (DG, Kolkata Police) ও কলকাতার পুলিশ কমিশনারও (CP)। এছাড়া সব জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপার যোগ দেবেন ভারচুয়ালি উপস্থিত থাকতে হবে।
পরের দিন, ৮ তারিখ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) সাংগঠনিক বৈঠক। জানা গিয়েছে, বৈঠকে সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে ডাকা হয়েছে, জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্যদেরও। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে শীর্ষ নেতা থেকে বুথস্তরের কর্মী, সাংসদ থেকে পঞ্চায়েত উপপ্রধান সবাইকে বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সিবিআই ও ইডি-র তৎপরতা বেড়েছে রাজ্যে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের মতো নেতারা জেলে। এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের মমতা পঞ্চায়েত ভোটের নির্বাচনী রণকৌশল নিয়ে কী বলেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja)। ওইদিন থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে যায় উৎসবের আমেজ। তার আগে কর্মীদের নিয়ে বসছেন নেত্রী। উৎসবের মরশুম কেটে গেলেই রাজ্যজুড়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। তখন জেলার কর্মীদের একসঙ্গে পাওয়া মুশকিল। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েতের কাজকর্ম আরও স্বচ্ছ করতে ২০০৪ সালের একটি পুরনো বিজ্ঞপ্তি বলবৎ করার নির্দেশ জারি করেছে নবান্ন। যাতে উল্লেখ, জেলা পরিষদে মাসে একবার গিয়ে কাজের অডিট করবেন প্রত্যেক ডিভিশনাল কমিশনার। জেলা শাসকদের প্রতি মাসে একটি করে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে (GP)পরিদর্শন করতে হবে। প্রত্যেক বিডিওকে মাসে তিনটে করে পঞ্চায়েতে গিয়ে কাজের হিসাব নিতে হবে। ভুয়ো খরচ বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ। এই পরিস্থিতিতে দলে মমতা স্বচ্ছতা বাড়ানোর বার্তা দিতে পারেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.