Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee

বিধানসভায় মুখোমুখি রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রী, বোসকে স্বাগত জানালেন মমতা

সোমবার বিধানসভায় নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শামিল হন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উত্তরীয় পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের হাতে পুস্পস্তবক তুলে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

Mamata Banerjee welcomes Governor at WB Assembly
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:December 2, 2024 12:43 pm
  • Updated:December 2, 2024 1:53 pm  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: অবশেষে মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল। সোমবার প্রথমবার বিধানসভায় বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শামিল হন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উত্তরীয় পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাজ্যপালের হাতে পুস্পস্তবক তুলে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

এর আগে বিধায়কদের শপথ গ্রহণ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপালের দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল। নানা‘অজুহাত’সামনে রেখে বিধায়কদের শপথ নিয়ে গড়িমসি করেছিলেন রাজ‌্যপাল। তবে এবার অধ‌্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের কৌশলেই আর সেই পথে যেতে পারেননি সি ভি আনন্দ বোস। সোমবার ঘড়ির কাঁটায় ঠিক সাড়ে বারোটা নাগাদ বিধানসভায় পৌঁছন রাজ্যপাল। তাঁকে স্বাগত জানান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। পরিয়ে দেন উত্তরীয়। এর পর তাঁর হাতে পুস্পস্তবক দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। সকলে চলে যান বিধানসভার অন্দরে।

নির্ধারিত সময়েই শুরু হয় শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। প্রথম শপথ নেন সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক সঙ্গীতা রায়। শপথ বাক্য পাঠের পর তিনি বললেন, ‘জয় বাংলা’। তার পর শপথ নেন জয়প্রকাশ টোপ্পো। বলেন, ‘গোর্খা, জয় আদিবাসী, জয় বাংলা।’ শপথ বাক্য পাঠের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ বলেন নৈহাটি সনৎ দে। এদিন শপথগ্রহণের পর মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়কে মায়ের আসনে বসালেন মেদিনীপুরের বিধায়ক সুজয় হাজরা। বললেন, “দুই মায়ের কথা বলব। এক আমার জন্মদাত্রী মা। তাঁকে আমি প্রণাম করে এসেছি। আর প্রণাম জানাচ্ছি আরেক মা যিনি আমায় এখানে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। গত সাড়ে তিন মাস বাংলাকে বদনাম করেছে। মেদিনীপুরের মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে কীভাবে তার বদলা নিতে হয়।”

উ্লেখ্য, সিভি আনন্দ বোস রাজ্যপাল পদে আসীন হওয়ার পর প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব একটা খারাপ ছিল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাতেখড়িও দিয়েছিলেন রাজ্যপালের। তবে তার পর একাধিক ইস্যুতে মতানৈত্য তৈরি হয়েছে। অশান্তি চরমে পৌঁছেছে। প্রকাশ্যে আক্রমণের পথে হেঁটেছিলেন তাঁরা। এর আগে দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন চৌধুরীর শপথকে কেন্দ্র করে সম্পর্ক একেবারে তলানিতে পৌঁছয়। তার পরবর্তী এবার মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের এই মুখোমুখি সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। যদিও সৌজন্যমূলকভাবে উত্তরীয় পরিয়ে হাত জোড় করে স্বাগত জানানো ছাড়া তাঁদের মধ্যে কোনও কথা হয়নি বলেই খবর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement