Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mamata Banerjee

ছটপুজোয় বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

ঘূর্ণিঝড় 'ডানা' পরবর্তী সময়ে ছটপুজোয় বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।

Mamata Banerjee: WB CM directs to take some action for Chhath Puja
Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 25, 2024 3:51 pm
  • Updated:October 25, 2024 4:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কালীপুজো, ভাইফোঁটার পর ছটপুজো। এই রাজ্যে বসবাসকারী বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে আসা মানুষেরা মূলত ছটপুজোয় মাতেন। ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ পরবর্তী সময়ে ছটপুজোয় বাড়তি সতর্কতার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)।

বৃহস্পতিবার রাতভর নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’র দিকে নজর রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ‘ডানা’ পরবর্তী পরিস্থিতিতে নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। ছটপুজো প্রসঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বারাকপুর, হাওড়া, হুগলি, চন্দননগরে অনেকগুলো ঘাট আছে। কলকাতার ঘাটগুলোতেও অনেক মানুষ যান। তাই প্রত্যেকটি ঘাট পরিষ্কার করতে হবে। ঘাটগুলির সিঁড়ি যাতে পিছল না থাকে, খেয়াল রাখতে হবে। ঘাটের কাছে ব্যারিকেড করতে হবে। পুলিশকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে একসঙ্গে সবাই না নামেন। যেহেতু ৭ নভেম্বর সন্ধেয় ছটপুজো, তাই ভালো করে ঘাটগুলিতে আলো লাগাতে হবে।” এছাড়া যাতে ঘাটের কাছে ভিড়ভাট্টায় কোনও সমস্যা না হয়, তাই ভিআইপিদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর মতো ছটপুজোও (Chhath Puja) চলে চারদিন। প্রথম দিন নহায় খায়, দ্বিতীয় দিন খরনা, তৃতীয় দিন সন্ধ্যা অর্ঘ্য, শেষ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্য। এই পুজোর রীতিনীতি বেশ কঠিন। সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে ছটের ডালা সাজানোই সবচেয়ে বড় কাজ। ‘ছটি’, ‘ছট পরব’, ‘ছট পূজা’, ‘ডালা ছট’, ‘ডালা পূজা’, ‘সূর্য ষষ্ঠী’র মতো নানা নামে পরিচিত ছটপুজো। বলা যায় সূর্যকে ধন্যবাদজ্ঞাপনের উৎসব ছটপুজো। তাই সূর্য দেবতার কাছে মানত করেন ভক্তরা। যাঁরা ব্রত রাখেন তাঁরা প্রায় ৪০ ঘন্টা একেবারে নির্জলা উপবাস করেন। উৎসবের শেষ দিন সূর্যোদয় অর্ঘ্যর পর প্রসাদ খান। পুজো পার্বণের সময় আমিষ নৈব নৈব চ!

উৎসবের প্রথম দিন সকালে স্নান সেরে পরিষ্কার কাপড় পরে রান্না করেন মহিলারা। এদিন দুপুরের খাবারে থাকে লাউ ভাত। অর্থাৎ ভাতের সঙ্গে লাউয়ের তরকারি। সঙ্গে চানা ডাল এবং নানারকম সবজি। তবে এই সব রান্নায় নুন ব্যবহার করা যাবে না। যিনি ব্রত রাখেন তিনি ছাড়া এদিন পরিবারের সকলকেই দুপুরে লাউয়ের তরকারি দিয়ে ভাত খেতে হয়। তবে রাতে যেকোনও রকমের নিরামিষ খাবার খাওয়া যেতে পারে। উৎসবের দ্বিতীয় দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যিনি ব্রত রাখেন তিনি দিনভর উপবাস করেন। ওইদিন বাড়িতে সূর্য দেবতার পুজো করা হয়। উপাচার হিসাবে ক্ষীর, রুটি, কলা দেওয়া হয়। এরপর ছটপুজোর মূল উপকরণ ঠেকুয়া বানানোর কাজ শুরু হয়।

উৎসবের দ্বিতীয় রাত থেকে ছটের ডালা সাজানোর প্রস্তুতি চলে। তারপর বিকেলে জলাশয়ে গিয়ে ডুবন্ত সূর্যকে পুজো করা হয়। পুজো শেষে প্রদীপ জলাশয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। পুজোর ডালায় ফল ছাড়াও থাকে ঠেকুয়া। উৎসবের শেষ সকালে সূর্য ওঠার আগেই ব্রতপালনকারীরা আবার জলাশয়ে যান। সেখানে অর্ঘ্য দেন। তারপর পুজো শেষ হয়। পুজো শেষে বাড়ি আসার পরই খরনার সন্ধে থেকে প্রায় ৪০ ঘন্টা পর ঠেকুয়া, আদা, জল, গুড় খেয়ে উপবাস ভাঙেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement