ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের পথ থেকে সরে আসার আরজি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের ফোনে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, “অনশন তুলে দয়া করে কাজে যোগ দিন।” একইসঙ্গে আন্দোলনকারীদের দাবিপূরণের জন্য ৩-৪ মাস সময় চেয়ে নিলেন তিনি। ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন ফের জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে আপত্তি নেই তাঁর। তবে তার আগে আন্দোলনকারীদের অনশন প্রত্যাহার করতেই হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়ে আরজি জানিয়েছেন অর্ণব-দেবাশিসরা। তাঁদের সেই দাবি মেনে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সোমবার বিকেল ৫টায় নবান্নে ফের বৈঠকে বসছে দুপক্ষ। তবে ১০ জনের বেশি প্রতিনিধি নবান্নে যেতে পারবেন না।
শনিবার জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে উপস্থিত হন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বরাষ্ট্র সচিব নন্দিনী মুখোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। সেখানে মুখ্যসচিবের ফোন থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন। জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত তিনি। জানান, “আপনাদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে চিন্তিত। আমি আপনাদের শুভকামনা করছি। সাধ্যমতো যতটা পারব, সহযোগিতা করব।” এর পরই তাঁর সংযোজন, “আন্দোলন করা আপনাদের অধিকার। আগেরবার পাঁচটা দাবির মধ্যে চারটি মেনে নিয়েছি। স্বাস্থ্যসচিবকে সরানো যায়নি।
একটি দপ্তর থেকে সবাইকে একসঙ্গে সরিয়ে দিলে দপ্তরটা চলতে পারে না। সরকারেরও কিছু ব্যাপার আছে।” অনশন থেকে সরে আসার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আবারও বলেন, “আমি বলব, তাড়াতাড়ি আন্দোলন থেকে বেরিয়ে আসুন। এটা আমার অনুরোধ। মানব কী মানবেন না, সেটা আপনাদের ব্যাপার।”
জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্র নির্বাচন করানো। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি চাই পরেরবার থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে একসঙ্গে নির্বাচন হোক। কালীপুজো, দীপাবলি, উপনির্বাচন আছে। আমি কথা দিচ্ছি, ৩-৪ মাস সময় দিন। আপনাদের সমস্যাগুলো নিশ্চয়ই দেখে নেব।” এর পরই অভিভাবিকার মতো তিনি বলেন, “আপনাদেরও পরীক্ষা আছে। পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। আন্দোলন থেকে সরে আসুন। আদালতে মামলা চলছে। সুবিচার মিলবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.