ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে ভারচুয়াল মাধ্যমেই এবছর পালিত হয়েছে তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট ২১ জুলাই। কালীঘাটের দলীয় কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার একঘণ্টার বক্তব্যে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। পরবর্তী ধাপ হিসেবে আজ, বৃহস্পতিবার সাংগঠনিক বৈঠকে বসছেন তিনি। লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধির কারণে তাও হবে ভারচুয়াল মাধ্যমে। সূত্রের খবর, আজ বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে নেতা, মন্ত্রী, জেলার পর্যবেক্ষক, সভাপতিদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মমতা। একুশের বিধানসভায় মূল প্রতিপক্ষ বিজেপির বিরুদ্ধে রণকৌশল ঠিক হতে পারে সেখানে।
শহিদ দিবসের ভাষণ থেকে একুশে ফের ক্ষমতায় আসবেন বলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে লড়াই যে এবার একটু হলেও কঠিন, তা নিজেও বুঝেছেন তিনি। উনিশের লোকসভায় বিজেপির বাড়বাড়ন্তই একটা সতর্কবার্তা। আর তাই একুশের নির্বাচনী লড়াইয়ে কোনও ফাঁক রাখতে চান না তিনি।
দেখা গিয়েছে, কয়েকটি জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে বারবারই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রাজ্যের শাসকদলকে। বিশেষত নদিয়া, হুগলির মতো জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চাপ। তার উপর এবার শাসকদলের বিরুদ্ধে ফের বড়সড় অভিযোগ উঠেছে আমফানের ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি। যদিও অভিযোগ পেতেই তড়িঘড়ি কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে দল। পঞ্চায়েত স্তরের বেশ কয়েকজন নেতাকে শোকজ, সাসপেনশনের পথে হেঁটেছে দল। একুশের ভোটে তাও একটা কাঁটা হতে পারে, এই আশঙ্কা থাকছেই। ফলে তা দূর করতে জেলা নেতৃত্বের স্তরে পরিবর্তন হতে পারে আজকের বৈঠকে। দলের অন্দরে জোর জল্পনা, শুভেন্দু অধিকারীর দায়িত্ব আরও বাড়তে পারে। নতুন মুখ উঠে আসতে পারে রাজ্য সংগঠনে।
অন্যদিকে, একুশের বিধানসভাকে পাখির চোখ করছে বিজেপিও। এবার বাংলা দখলের লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে গেরুয়া শিবিরও। তাই মমতার সাংগঠনিক বৈঠকের দিনই দিল্লিতে রাজ্য সংগঠন নিয়ে আলোচনায় বসছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষ-সহ (Dilip Ghosh) রাজ্যের একাধিক নেতা উড়ে গিয়েছেন দিল্লিতে। আজ সেখানে রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেননদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, তিনদিন ধরে চলবে বৈঠক। দিল্লি থেকে বাংলা দখলের রণকৌশল ঠিক করে দেওয়া হবে। তবে বিজেপির এই বৈঠক নিয়ে দলের অন্দরে কিছুটা অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। দিল্লির বৈঠকে ডাক পাননি রাজ্য নেতৃত্বের সকলে। যাঁরা ডাক পেলেন না, তাঁরা কেন পেলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিজেপির এই সাংগঠনিক বৈঠকে পরে যোগ দিতে চলেছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দিকেও বিশেষ নজর থাকছে রাজনৈতিক মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.