স্টাফ রিপোর্টার: পঞ্চায়েত ভোটের আগে আজ দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন তৃণমূল কংগ্রেসনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সমস্ত বিধায়ক, জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদের সভাধিপতিরা দুপুরে কালীঘাটের অফিসে এই বৈঠকে আমন্ত্রিত। মনে করা হচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোট ও সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে দলীয় স্তরে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রাখবেন তৃণমূলনেত্রী। থাকবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই বৈঠকের পর মমতার সঙ্গে দেখা করতে আসবেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব। এদিকে আগামী সপ্তাহে মমতা পুরী যেতে পারেন। শ্রীক্ষেত্রে জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
পঞ্চায়েত ভোট এসে গিয়েছে। নির্ধারিত সময়ে গ্রাম সংসদের ভোটদান হবে। তার আগে ঘর গুছিয়ে নিচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী। এক দফা জেলা সফর করে মানুষের হাতে পরিষেবা প্রদান তদারকি করে এসেছেন। ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে শুনেছেন মানুষের মনের কথা। এবার দলের বিধায়ক ও জেলা সভাপতিদের ডেকে তিনি প্রয়োজনীয় বার্তা আজ দেবেন। সর্বস্তরে বাম, কংগ্রেস, বিজেপির যৌথ আক্রমণের বিরুদ্ধেই যে লড়াই করতে হবে, সেই বার্তা তুলে ধরার পাশাপাশি মমতা বোঝাবেন সামাজিক প্রকল্পে সাফল্য এই ভোটেও হবে প্রধান হাতিয়ার।
অন্যদিকে, অখিলেশের সঙ্গে আজ মমতার বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ। বিজেপিকে হারাতে দেশের দুই বৃহত্তম রাজ্যের দুই প্রধান দলের নেতা-নেত্রী মমতা-অখিলেশ হাত মিলিয়েছেন। এই জোটে আরও আঞ্চলিক দল শামিল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বভাবতই আজকের বৈঠকের পর তাঁরা কী বার্তা দেন, সেদিকে নজর। অখিলেশের সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা বাংলার প্রাক্তন মন্ত্রী কিরণ্ময় নন্দ। কলকাতায় এবার তাঁদের জাতীয় সম্মেলন। আগামী ১৮ ও ১৯ মার্চ দু’দিনের সম্মেলনে তাঁরা থাকবেন কলকাতায়। শেষদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার কথা অখিলেশের। তার আগে আজ দুপুরে দলের নেতাদের সঙ্গে সম্মেলনের শুরুতে প্রাথমিক আলাপ পর্ব সেরে নেবেন সপা প্রধান। পরে বিকেলে কালীঘাটে বৈঠকে যোগ দেবেন মমতার সঙ্গে। এদিকে, তৃণমূল সাংসদরা দিল্লিতে ব্যস্ত। পুরোদমে অধিবেশন চলছে। তবে ৩ সাংসদকে এদিন দুপুরে দলের বৈঠকে থাকতে হচ্ছে। রাজ্য সভাপতি হিসাবে সুব্রত বক্সি ও জেলা সভাপতি হিসাবে শুভাশিস চক্রবর্তী ও শান্তা ছেত্রীকে।
মমতা-অখিলেশের এই বৈঠকের প্রেক্ষিতেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুলেছে তৃণমূল। জাতীয় স্তরে রাজনীতির ক্ষেত্রে বিজেপি-বিরোধী দলগুলিকে কংগ্রেস বিব্রত করছে বলে তোপ দেগেছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বলেছেন, “অখিলেশ ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল। দুই জাতীয় স্তরের নেতা। স্বাভাবিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।” অবিজেপি জোট নিয়ে এর পরই তাঁর তোপ, “আমরা কংগ্রেসকে বাদ দিতে বলছি না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য নেত্রী। দিল্লিতে বিজেপির বিরোধিতার লড়াইয়ে কংগ্রেসের বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায়? বাংলায় সিপিএমকে সঙ্গে নিয়ে বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছে। জলসাঘরের ছবি বিশ্বাসের মতো ঐতিহ্য নিয়ে আছে। এদিকে বাড়ি ভেঙে পড়ছে। ভোট কেটে বিজেপির হাত শক্তিশালী করছে।” কুণালের কথায়, “কংগ্রেস নিজে কিছু করতে পারবে না জেনেই অন্য সম্ভাবনাময় বিজেপি-বিরোধী দলগুলোকে বিব্রত করছে। রাজ্যে রাজ্যে অবিজেপি দলগুলির ক্ষতি করছে কংগ্রেস।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.