সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল, রবিবার সকাল ৯টায় দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার ইদের উৎসবে যোগ দিয়ে বিকেলের বিমানে দিল্লি যাবেন মমতা। রবিবার দিনভর নীতি আয়োগের বৈঠক চলবে। খুব সকালে বৈঠক বলেই আগের দিন সন্ধ্যায় উড়ে যেতে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীকে।
[পুজোর বুকিং শুরু হতেই পাহাড়গামী ট্রেনের কনফার্মড টিকিট শেষ]
May this #Eid bring happiness and endless blessings from the Almighty. #EidMubarak
ঈদ মুবারক pic.twitter.com/JmqKBwx3pb
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 15, 2018
আগে ঠিক হয়েছিল, শনিবার ইদের দিন হবে বৈঠক। কিন্তু তাতে আপত্তি জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেক রাজ্য৷ মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জানান হয়, ইদের দিন বা কোনও উৎসবের সময় তিনি রাজ্য ছেড়ে যান না। ফলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বৈঠকের দিন পিছিয়ে রবিবার করা হয়। শুক্রবার নবান্ন থেকে বেরনোর সময় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন। তবে ইদ ও উৎসবে অংশ নেওয়ার পরই কলকাতা ছাড়বেন তিনি। রেড রোডের নমাজেও উপস্থিত থাকবেন তিনি। ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেছেন, “ইদ মোবারক জানাচ্ছি। রেড রোডের প্রার্থনা সভায় থাকব। প্রতিবারই থাকি। সব সম্প্রদায়ের মানুষ ভাল থাকুন। আমরা এটাই চাই। এটাই আমাদের সম্প্রীতি। ইফতারগুলিও সর্ব ধর্ম সমন্বয় রেখে পালন হয়েছে।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নীতি আয়োগের বৈঠক ইদের দিনই ডাকা হয়েছিল। আমি বিষয়টাতে দৃষ্টি আকর্ষণ করি যে প্রার্থনায় অংশ নিতে হয়। উৎসবে থাকতে হয়। ইচ্ছে না থাকলেও যেতে হচ্ছে। যেহেতু নীতি আয়োগের বিষয় ও অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। তাঁরাও তাঁদের রাজ্যের বক্তব্য জানাতে চান। সবার কথা শুনেই যাচ্ছি।”
[ট্রিঙ্কাস-এর পর এবার আরসালান, পচা খাবার পরিবেশনের অভিযোগ রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে]
নীতি আয়োগের বৈঠক হবে রাষ্ট্রপতি ভবনে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সমস্ত শীর্ষ মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন সেখানে৷ দিল্লি সূত্রে খবর, দেশের কৃষি সংকট, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রসঙ্গ, আয়ুস্মান ভারত, ন্যাশনাল নিউট্রিশন মিশন, মিশন ইন্দ্রধনুষ নিয়ে আলোচনা হবে। সম্ভাবনাময় জেলাগুলির উন্নয়ন নিয়েও পরিকল্পনা তৈরি হবে। পাশাপাশি মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ বছর উদযাপন নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে। এর আগেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জাতির জনকের দেড়শো বছর উদযাপনের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যেও অনেক আগেই সফল রাজ্য। বস্তুত, বিরোধী দলগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা মমতাকে অনুরোধ করেছিলেন এবারের নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। সেই রাজ্যগুলি নিজেদের বক্তব্য পেশ করে নিজেদের দাবি জোরালো করতে চাইছেন। মমতার নেতৃত্ব সেক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। দেশের প্রায় সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির লেফটেন্যান্ট গভর্নররাও থাকবেন। থাকবেন পদাধিকারী কেন্দ্রীয় সচিবরাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.