ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আর জি কর আবহে স্বাস্থ্যসাথীর অপব্যবহার হয়েছে। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তও করাবে রাজ্য সরকার। মমতা এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, “ওই সময় স্বাস্থ্যসাথীর টাকা অনেক বেশি খরচ করতে হয়েছে।”
আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারা যে সময় কর্মবিরতিতে ছিলেন, ঘটনাচক্রে সেই সময়ই স্বাস্থ্যসাথী খাতে খরচ বেড়েছে রাজ্য সরকারের। অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে কাজ না করলেও ওই সময় দিব্যি বেসরকারি হাসপাতালে প্র্যাকটিস করে গিয়েছেন চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যসাথীর খরচও বেড়েছে সেকারণেই। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও সরব হয়েছেন। তবে নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তথ্য দেননি তিনি। এদিন বিধানসভায় মমতা বললেন, “কখনও কখনও অপ্রিয় সত্য বলতে নেই। হয়েছে এমন অনেক কিছু। আমাদের অনেক টাকা বেরিয়ে গেছে। আর জি কর মামলা বিচারাধীন। তাই ধরতে পেরেছি। এই স্বাস্থ্যসাথীর টাকা নিয়ে চিকিৎসা করেছে। আমি ভালো করে তদন্ত করেছি। ডবল ক্রস করছি।”
মমতা সাফ বলছেন, “এই টাকা যে অপব্যবহার করেছে..। এটা তদন্ত করে শাস্তি হবে। আপনার ইচ্ছা না থাকলে কাজ করবেন না। কিন্তু জনগণের টাকা মিস ইউজ করা যায় না। কে কীভাবে সেটা করেছে সেটার তদন্ত করে এটার শাস্তি হবে।”
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১০ আগস্ট থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর এই সময়কালে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে খরচ হয়েছে ৩১৫ কোটি টাকা। যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি। নবান্ন সূত্রের খবর, এই কর্মবিরতির জেরে ওই সময়কালে স্বাস্থসাথী খাতে গড়ে দৈনিক ৭ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। হিসেব কষে দেখা গিয়েছে, আন্দোলনের জেরে দৈনিক ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বাড়তি গুনতে হয়েছে রাজ্যকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.