Advertisement
Advertisement

Breaking News

Suswasthya

কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রং বিতর্কে রাজ্যকে জবাব দিল কেন্দ্র, বিধানসভায় সরব মুখ্যমন্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির পালটা কী জানাল কেন্দ্র?

Mamata Banerjee speaks on coloring on central scheme buildings | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 4, 2023 3:08 pm
  • Updated:December 4, 2023 6:58 pm  

নব্যেন্দু হাজরা: জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে রং বিতর্কে নয়া মোড়। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) চিঠির জবাব দিয়েছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, কেন্দ্র জানিয়েছে, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে হলুদ-বাদামি রং করার কথা ছিল। কিন্তু তার বদলে রাজ্য সরকার এসব কেন্দ্রের রং করেছে নীল-সাদা। কেন্দ্রীয় নিয়মনীতি না মেনে এই কাজ হয়েছে বলে টাকা দেওয়া যাচ্ছে না। জবাবি চিঠিতে এমনই জানানো হয়েছে বলে খবর। সোমবার বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের অভিযোগ তুলেছেন, ”সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের টাকা দেওয়া হচ্ছে না, কারণ গৈরিকীকরণ করতে হবে। সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোকে রং করে দিতে বলছে। তাহলে এত ভোটে জেতার কী দরকার? কত মারামারি হয়।”

সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে সাদা-নীল রংয়ের কারণে টাকা পাচ্ছে না, অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তার জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, ২০১৮ সালে কেন্দ্রের সঙ্গে ‘আয়ুষ্মান ভারত যোজনা’র আওতায় তৈরি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলির রং হবে হলুদ-বাদামি। তাতে ইংরাজির পাশাপাশি আঞ্চলিক ভাষাতেও নাম লেখা থাকবে। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু নিয়ম ছিল। কিন্তু রাজ্য তার মধ্যে অনেকগুলি নিয়ম মানেনি বলে পালটা জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Health Ministry)। আর সেই কারণে অর্থ দেওয়া যাচ্ছে না বলে জানানো হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ১১০ কিমি বেগে তাণ্ডব দেখাবে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’, ভাসতে পারে রাজ্যের ১১ জেলা]

এসব নিয়ে বিধানসভা অধিবেশনে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ”পঞ্চায়েতের প্রকল্পগুলির টাকা আটকে। ১০০ দিন, আবাস যোজনা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের টাকা দিচ্ছে না। রাজ্যকে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে। রাজ্যের টাকায় সব প্রকল্প চালানোর চেষ্টা হচ্ছে – এই এমপি ল্যাডের টাকা, বিদ্যুৎ দপ্তরের লাভের টাকায় কাজ করছি আমরা। শ্রমদিবস আরও বৃদ্ধি পাক, সেটা চাই।”

[আরও পড়ুন: মোদির চক্ষুশূল ‘রেউড়ি’তেই কামাল মধ্যপ্রদেশে]

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ”অনেক সময় এক একটা প্রজেক্টের জন্য এক একটা ডিপিআর তৈরি করা হয়। তার পরেও টেন্ডার যিনি পান না, তিনি আদালতে চলে যান। আর যিনি শেষমেষ টেন্ডার পেলেন তিনি অনেক সময় এমন নিম্নমানের কাজ করেন যে সেই কাজ অল্প দিনেই নষ্ট হয়ে যায়। এটা বড় সমস্যা। পঞ্চায়েত দপ্তর কিন্তু অনেক টাকা পায়। কারণ এখন কেন্দ্র সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেয়। ওরা টাকা নিয়ে কোথায় কোথায় কী করছে, সেটা আমরা জানতে পারি না। কারণ রাজ্য সরকারকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি জানি না কেন এটা করেছে। তবে রাজনৈতিক কারণেই করেছে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement