দীপঙ্কর মণ্ডল: দল ভাঙানো নিয়ে বিধানসভার অন্দরে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আক্রমণ শানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের উদ্দেশ্যে৷ টেনে আনলেন অন্যান্য রাজ্যে বিজেপির দল ভাঙিয়ে সরকার গড়ার প্রসঙ্গকে৷
[ইস্তফা শোভনের, কলকাতার নয়া মেয়র হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম]
সংশোধনের জন্য বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পেশ হয় পুর বিল৷ তৃণমূল কংগ্রেসের দুই-তৃতীয়াংশ বিধায়ক থাকায় বিধানসভায় নির্দ্বিধায় পাশ হয়ে যায় কেএমসি ২০১৮ পুর বিল৷ বাম-কংগ্রেস সমর্থন না জানালেও বিজেপির তিন বিধায়ক এই বিলে সমর্থন জানায়৷ কিন্তু এই বিল পেশের সময় রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ এরপরই বিধানসভার অন্দরে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক রূপ ধারণ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জম্মু-কাশ্মীর ও ত্রিপুরার উদাহরণ টেনে বিজেপির বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর অভিযোগ করেন তিনি৷ এদিন মমতা বলেন, “আপনারা দল ভাঙান। এই ভাবেই জম্মু-কাশ্মীরে সরকার ফেলেছেন। এই ভাবেই হাওড়ার মতো ছোট একটি রাজ্য ত্রিপুরায় সরকার গঠন করেছেন। কিন্তু এখানে তা পারবেন না। কারণ, আমাদের দলের বাঁধুনি খুব শক্ত।” এখানেই শেষ নয়, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদেরও এদিন আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, “এত লোক থাকতে আপনারা অমিত শাহকে কেন সভাপতি নিযুক্ত করেছেন? নরেন্দ্র মোদিকে কেন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেছেন? রাজনাথ সিং, সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলি-রা প্রত্যেকেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য। তাহলে কেন মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসে গণতন্ত্র আছে বলেই প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা যেকোনও পদের জন্য দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের মত নেওয়া হয়।” আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে মিটু বিতর্কে বিজেপি নেতা এম জে আকবরের পদত্যাগ প্রসঙ্গও টেনে আনেন তিনি৷
[বিধানসভায় পাশ পুর আইনের সংশোধনী বিল, শোভনকে ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রীর]
এদিন বিল পাশের সময় তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুরসভার ১২২ জন কাউন্সিলর এর মধ্যে অন্য কাউকে মেয়র পদের যোগ্য পাওয়া গেল না।পুর আইন সংশোধন করে বাইরে থেকে একজনকে মেয়র করে আনতে হচ্ছে৷” কেবল দিলীপ ঘোষই নন, রাজ্য সরকারকে একই প্রসঙ্গে আক্রমণ করেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যও৷ এভাবে আইন সংশোধন করার বিষয়টিকে বেআইনি বলে অভিযোগ করেন তিনি। অশোকবাবুর দাবি, ‘মেয়র’ মনোনীত পদ নয়, নির্বাচিত পদ। ফলে এই বিল পাশ করতে হলে রাজ্যপাল নয়, রাষ্ট্রপতির সম্মতি দরকার। এখানেই শেষ নয়, বিষয়টির বিরোধিতা করে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান অশোক ভট্টাচার্য৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.