সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার কণ্ঠরোধে অত্যাচারের সব সীমা ছাড়িয়েছে দিল্লি পুলিশ, যারা কিনা বিজেপির একটা বড় শক্তি। মঙ্গলবার রাজধানীতে তৃণমূলের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে পুলিশের লাগাতার অত্যাচার নিয়ে নীরবতা ভেঙে এভাবেই সরব হলেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। X হ্যান্ডলে দীর্ঘ পোস্টের ছত্রে ছত্রে তুলে ধরলেন গরিব মানুষের উপর কেন্দ্রের শোষণ, নিপীড়ণের কথা। তবে এত কাণ্ডের পরও যে বাংলার মানুষ ভয় করবেন না, তাও দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন তিনি। বঞ্চিত জনতাকে জুগিয়েছেন নতুন করে লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা। কবিগুরুকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন – “দু বেলা মরার আগে, মরব না ভাই, মরব না”।
Today is a dark, sinister day for democracy, a day when @BJP4India revealed their disdain for the people of Bengal, their disregard for the rights of the poor and a complete abandonment of democratic values.
First, they callously withheld crucial funds meant for the poor of…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) October 3, 2023
সোমবার রাজঘাট (Rajghat) ও মঙ্গলবার শেষবেলায় কৃষিভবনে তৃণমূলের শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে পুলিশের বর্বরোচিত আচরণের সাক্ষী থেকেছে গোটা দেশ। মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিবসে তাঁরই সমাধিস্থল, শান্তির পীঠস্থান রাজঘাটে অবস্থানকারী তৃণমূল (TMC) প্রতিনিধি ও ১০০দিনের কাজের টাকা না পাওয়া মানুষের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে জোর করে তুলে দেওয়া হয়।
এরপর মঙ্গলবার একইভাবে কৃষিভবনের (Krishi Bhavan) ভিতরে বসে থাকা তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীদের উপর পুলিশি অত্যাচার আরও কয়েকগুণ বাড়ে। সাক্ষাতের সময় দিয়েও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি দেখা তো করেনইনি, উলটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ (Abhishek Banerjee) দলের বর্ষীয়ান ও মহিলা জনপ্রতিনিধিদের কার্যত টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায় পুলিশ। সোশাল মিডিয়ায় (Social Media) বিভিন্ন ভিডিওতে এই দৃশ্য দেখা গিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, পুলিশ ভ্যানে তুলে তাঁদের সকলকে নিয়ে যাওয়া হয় উৎসব সদনের পুলিশ লাইনে। সেখানেও দীর্ঘক্ষণ আটক থাকার পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লড়াই আরো জোরদার করার বার্তা দেন।
মঙ্গলবার দিনভর ঘটনার ধারাবাহিকতা দেখে আর নীরব থাকেননি তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতে এক্স হ্যান্ডলে কড়া প্রতিক্রিয়া জানান। লেখেন, “এই দিনটি দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে একটা কালো দিন। বিজেপি বুঝিয়ে দিল যে দেশের গরিব মানুষের প্রতি তাদের বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধা তো নেইই, উল্টে দমননীতির একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রথমত বাংলার দরিদ্র মানুষের কাজের টাকা আটকে রেখে হীনতার পরিচয় দিয়েছে তারা। এরপর আমাদের প্রতিনিধিরা যখন সেই প্রাপ্য আদায়ের দাবিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল, তখন রাজঘাট ও কৃষিভবনে আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচার করেছে দিল্লির পুলিশ। তারা আমাদের নেতাদের এমনভাবে ভ্যানে তুলছিল, যেন তাঁরা সব দাগি অপরাধী! দিল্লি পুলিশ ঔদ্ধত্যের সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। নিজেদের সেই অহংকার দিয়ে বাংলার সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করতে উঠেপড়ে লেগেছে। কিন্তু মানুষ ভয় পায়নি।” এরপরই কবিগুরুর রচনা তুলে ধরে নেত্রী লিখেছেন, ”আমরা ভয় করব না ভয় করব না…”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.