Advertisement
Advertisement
বর্ষশেষের উপহার

বর্ষশেষের উপহার, রাজ্যপালকে ফুল ও মিষ্টি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জগদীপ ধনকড়।

Mamata Banerjee sent flowers and sweets to governor Jagdeep Dhankhar
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 31, 2019 8:56 pm
  • Updated:December 31, 2019 9:00 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই প্রশাসনের সঙ্গে অম্লমধুর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে জগদীপ ধনকড়ের। কোনওদিন সকালে উঠে রাজ্য প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া সমালোচনা করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। আবার সেইদিন বিকেলেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা শোনা যাচ্ছে তাঁর গলায়। মঙ্গলবার বর্ষশেষের দিনেও তার অন্যথা হল না। সকালে যেখানে শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে রাজ্যপালের টানাপোড়েন চলছিল বলে খবর ছড়িয়েছিল। সেখানে বিকেল হতেই বদলে গেল পুরো ছবিটা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বাসভবনে ফুল ও মিষ্টি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তার আগে অবশ্য রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে দু’জনের বৈঠকের ছবি পোস্ট করে রাজ্যপাল টুইট করেন, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে খুব সুন্দর ও আন্তরিক আলোচনা হয়েছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সকল সদস্যকে ২০২০ সালের শুভেচ্ছা।’

[আরও পড়ুন: পারিবারিক বিবাদের জের, মায়ের মাথায় পরপর হাতুড়ির আঘাত মেয়ের]

 

সম্প্রতি বিশেষ সমাবর্তন ঘিরে নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তারও আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য জগদীপ ধনকড়ের প্রবেশ নিয়েও একপ্রস্থ ঝঞ্ঝাট হয়েছিল। এসবের পর চূড়ান্ত অপমানিত বোধ করেন রাজ্যপাল। টুইটারে নিজের অনুভূতিও প্রকাশ করেন। তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে প্রত্যাখ্যাত হয়ে ফেরার পরই এর বিহিত চেয়ে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ২৫ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সুবিধা মতো সময়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করতে চান বলে উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রী একদিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিয়ে জানান, বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন।

[আরও পড়ুন: অপত্য স্নেহ! নতুন বছরে পুঁটিকে নিয়ে বেড়াতে যাবেন ‘প্যাঁচার মা’]

 

এরপরই শিক্ষামন্ত্রী নিজে চিঠি লিখে ধনকড়কে জানান, শিক্ষা দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কাজে খুব একটা হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। রবিবার রাজ্যপালকে ট্যাগ করে সেই চিঠি টুইটারে প্রকাশ করেও দেন শিক্ষামন্ত্রী। পালটা জবাব দেন আচার্য জগদীপ ধনকড়ও। এ নিয়ে রাজ্যপাল-শিক্ষামন্ত্রীর টুইটযুদ্ধও বেশ জমে ওঠে। তবে এসব জট কাটিয়ে মঙ্গলবার রাজ্যপালের সঙ্গে আলোচনায় বসেন পার্থবাবু। আর তারপরই বরফ গলে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement