Advertisement
Advertisement

Breaking News

Mamata Banerjee

‘অসহায় মানুষ খটখট করলে বাংলার দরজা খোলা’, বাংলাদেশ ইস্যুতে মন্তব্য মমতার

বাংলাদেশ নিয়ে তৃণমূল নেত্রীর আরও সতর্কবার্তা, প্ররোচনায় পা দেবেন না।

Mamata Banerjee sends message to co-operate on current situation in Bangladesh
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 21, 2024 2:27 pm
  • Updated:July 21, 2024 6:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংরক্ষণ ইস্যুতে ছাত্র আন্দোলনে জ্বলছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ। গত তিন-চারদিন ধরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সেখানে। জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট, পথেঘাটে সাঁজোয়া গাড়ির টহল। প্রতিবেশী দেশের অশান্ত পরিস্থিতিতে সতর্ক নয়াদিল্লিও। ঢাকার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। তারই মাঝে রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়ে জানিয়েছে, সংরক্ষণ ৩০ শতাংশ থেকে কমানো হয়েছে ৫ শতাংশে। এদিকে রবিবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলাদেশ নিয়ে বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বললেন, ”এনিয়ে আমার বিশেষ কিছু বলার নেই, যা বলার ভারত সরকারই বলবে। কিন্তু অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় খটখট করলে দরজা খোলা আছে, এটুকু আশ্বাস দিতে পারি।”

বাংলাদেশের (Bangladesh) পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে সব মহল। অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হওয়া সত্ত্বেও এনিয়ে এতদিন একটি কথাও বলেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু একুশের শহিদ (21 July Shahid Diwas) স্মরণের সভা থেকে প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে মুখ খুললেন তিনি। মমতার কথায়, ‘‘বাংলাদেশ নিয়ে কিছু বলব না, ওটা আলাদা দেশ। যা বলবে ভারত সরকার বলবে। আমি এটুকু বলতে পারি, যদি অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়ে, আমরা নিশ্চয়ই আশ্রয় দেব। রাষ্ট্রসংঘের একটা নির্দেশ আছে, কেউ যদি শরণার্থী (Refugee) হন, তবে তাঁকে পাশের এলাকা সম্মান জানাবে। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও উত্তেজনায় না জড়াই, প্ররোচনায় পা না দিই। তবে তাদের প্রতি সহমর্মিতা রয়েছে।’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: কেন রাজনীতি থেকে ‘সাময়িক বিরতি’? একুশের মঞ্চে কারণ ব্যাখ্যা অভিষেকের]

বাংলাদেশে পড়াশোনা বা অন্যান্য কাজের জন্য এদেশের বহু নাগরিক সেখানে রয়েছেন এই মুহূর্তে। অশান্তির জেরে তাঁরা আটকে পড়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের চেষ্টায় সীমান্ত পেরিয়ে ফিরেছেন।  বিশেষত কোচবিহার, শিলিগুড়ি সীমান্ত (Border) দিয়ে ফিরেছেন বহু পড়ুয়া। অন্যদিকে, সে দেশের নিরাপত্তার অভাব বোধ করলেও অনেকে প্রতিবেশী ভারতের আশ্রয় চাইতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে।  আর তেমনটা হলে পশ্চিমবঙ্গের ভূমিকা কী হতে চলেছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজ্যের শাসকদলের নেত্রী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ২৬-এ বিশেষ নজরে উত্তরবঙ্গ, একুশের মঞ্চ থেকে বার্তা জগদীশ বসুনিয়ার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ