গৌতম ব্রহ্ম: বামেদের সমর্থন নিয়ে উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ার তিনমাসের মধ্যেই দলবদল করেছেন সাগরদিঘির কংগ্রেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস (Bairon Biswas)। সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে ঘাটালে তিনি তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়েছেন। মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের সময় এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর সাফ জবাব, ”আমি খবরের কাগজে দেখেছি। ওসব ব্লক লেভেলের ব্যাপার। আমি ওসব জানি না।”
এর আগে সাগরদিঘির উন্নয়নে কাজের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন বায়রন বিশ্বাস। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি। এরপর সাগরদিঘিতে ‘তৃণমূলে কর্মসূচি’তে গিয়ে অভিষেক বায়রনের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে বলেন, যা প্রয়োজন বায়রন যেন মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, রাজ্য সরকার হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে। বার্তা পেয়ে বায়রন আশ্বস্তও হয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, সাগরদিঘির মানুষের জন্য কাজ করবেন।
কিন্তু তারপরই পট পরিবর্তন। সোমবার ঘাটালে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, তাঁর জয়ের পিছনে কংগ্রেসের অবদান নেই কোনও। তৃণমূলের সমর্থকরাও ভোট দিয়েছেন। সাগরদিঘির উন্নয়নে কাজ করতে চান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হতে চান। তাই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
সোমবার দিনভর এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে একাধিক আলোচনা, সমালোচনা চলেছে। মঙ্গলবার নবান্নে এ বিষয়ে খোদ দলনেত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ”ওসব ব্লক স্তরের ব্যাপার, আমি কিছু জানি না। আমিও খবরটা দেখেছি কাগজে।” অর্থাৎ বায়রন বিশ্বাসের যোগদানকে তেমন গুরুত্ব দিতে চাইলেন না তৃণমূল সুপ্রিমো।
এদিকে, তৃণমূলে যোগদানের পর সাগরদিঘিজুড়ে বায়রনের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের পরিবেশ। কংগ্রেসের স্থানীয় নেতৃত্ব থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই তাঁর ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ ক্ষুব্ধ। আর সেই ক্ষোভের আঁচ পড়তে পারে, সেই আশঙ্কায় বাড়ানো হয়েছে দলবদলকারী বিধায়কের নিরাপত্তা। সূত্রের খবর, সাগরদিঘির বাড়িতে সর্বক্ষণের জন্য নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। বিধায়কের বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আটজন সশস্ত্র কনস্টেবল-সহ দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টরকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.