নব্যেন্দু হাজরা: বারবার আদালতে মামলা। নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে একের পর এক স্থগিতাদেশ। ফলে সদিচ্ছা থাকলেও বহু ক্ষেত্রে নিয়োগ করতে পারছে না রাজ্য সরকার। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে আদালতের হস্তক্ষেপ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গে বিচারব্যবস্থার উদ্দেশে তাঁর অনুরোধ, বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে।
বৃহস্পতিবার বিধানসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “যখনই আমরা লোক নিতে চাই তখনই কেউ কোর্টে চলে যাচ্ছে। আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে চলে আসছে। আমরা ৩ মাসের মধ্যে নিয়োগ শেষ করতে চাই। কিন্তু কোর্টে লড়তে গিয়েই সব টাকা চলে যাচ্ছে।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর বিচারব্যবস্থার উদ্দেশে অনুরোধ করে বলেন,”কোর্টকে বলব এটা দেখতে। বিচারব্যবস্থা মানুষের জন্যই, মানুষের জন্যই হোক। বিচারের বাণী যেন নিভৃতে না কাঁদে।”
বস্তুত, এই মুহূর্তে আদালতে মামলার গেরোয় আটকে রয়েছে বহু রাজ্য সরকারি নিয়োগ। বিভিন্ন স্তরে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ এনে মামলায় মামলায় জর্জরিত করে চলেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। শাসক দল বারবার অভিযোগ করেছে, আদালতে একের পর এক মামলার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও মদত রয়েছে। বিরোধীরা চাইছেন না সুষ্ঠুভাবে কোনও নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক। এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই উষ্মাপ্রকাশে সেই অভিযোগই কার্যত প্রতিধ্বনিত হল।
উল্লেখ্য, যেদিন বিধানসভায় (West Bengal Assembly) দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আদালতের হস্তক্ষেপ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করছেন, সেদিনও নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতে বেশ চাপে কেন্দ্র। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে বেআইনি শিক্ষকদের চাকরি বাঁচানোর সিদ্ধান্ত কার, তা নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিবের জবাব তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তার বিরুদ্ধে আবার ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য। বস্তুত এই মুহূর্তে হাই কোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এমন বহু মামলায় লড়তে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.