Advertisement
Advertisement

বসিরহাটে অশান্তির নেপথ্যে কারা, জানতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ মমতার

যে দোষ করবে, তাকেই কড়া শাস্তি পেতে হবে।

Mamata Banerjee orders judicial probe in Basirhat violence
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 8, 2017 10:24 am
  • Updated:July 8, 2017 10:29 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাদুড়িয়া-বসিরহাটে অগ্নিগর্ভে পরিস্থিতি তৈরি হল কেন, জানতে এবার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাদের উসকানিতে সীমান্তবর্তী ওই এলাকা অগ্নিগর্ভে হয়ে উঠল, জানতে তদন্ত কমিশন গড়বে রাজ্য। শনিবার নবান্নে মমতা জানান, কুমিল্লার ভিডিও দেখিয়ে এই রাজ্যে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বিজেপির পার্টি অফিস থেকে ভোজপুরি সিনেমার দৃশ্যকে বাংলার বলে চালানো হচ্ছে। দোষীদের কাউকে রেয়াত করা হবে না। যে দোষ করবে, তাকেই কড়া শাস্তি পেতে হবে। অশান্তি ছড়ানোয় ইতিমধ্যেই রাজ্যে হিন্দু সংহতি ও অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের মতো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলেও এদিন সাফ জানিয়েছেন মমতা।

বস্তুত, সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানিমূলক পোস্টই যে বসিরহাটের অশান্তিতে ইন্ধন জানিয়েছে, সে কথা বারবারই বলে এসেছে পুলিশ। পুলিশের তরফে বারবার আবেদন জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনওরকম উসকানিমূলক পোস্ট লাইক বা শেয়ার করলে তার দায় সাধারণ মানুষের উপরও বর্তায়। শুক্রবারই ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’ প্রথম জানায়, ভোজপুরি সিনেমা ‘অওরত খিলোনা নেহি’র একটি স্থিরচিত্র ব্যবহার করে কীভাবে বিজেপি নেত্রী বিজেতা মালিক বাংলায় মহিলাদের উপর অত্যাচার বলে উল্লেখ করে আপলোড করেছেন। ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রী এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যারা বাংলাদেশের ভিডিও, সিনেমার দৃশ্যকে এ রাজ্যের ছবি বলে ফেসবুকে ছড়াচ্ছেন, তাদের কড়া শাস্তি হবে। এই প্রসঙ্গে বাংলার সংবাদমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রশংসাও করেছেন মমতা।

শুধু বসিরহাটই নয়, দার্জিলিং নিয়েও এদিন কেন্দ্রকে একহাত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, দার্জিলিংয়ের অশান্তি পুরোপুরি প্ল্যানমাফিক। দিল্লির কথায় মোর্চা নেতারা অশান্তি ছড়াচ্ছেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তাঁর তোপ, বারবার বলা সত্ত্বেও সিআরপিএফ পাঠাচ্ছে না কেন্দ্র।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গত মাসের ৮ থেকে এ মাসের ৮ তারিখ হল। বারবার বলা সত্ত্বেও সিআরপিএফ দেওয়া হল না।” দার্জিলিংয়ের অশান্তিতে বিদেশি শক্তির ছায়াও দেখেছেন মমতা। তিনি স্পষ্ট জানান, নেপাল-ভুটান সীমান্ত থেকে মোর্চা নেতারা খাবার নিয়ে আসছেন। কিন্তু মানুষ যে খেতে পারছেন না সেদিকেও নজর দিন। মোর্চা নেতাদের এদিন ফের বৈঠকে বসতে আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার অভিযোগ, পাহাড়েও উসকানি দিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিচ্ছে আরএসএস, বিজেপি। আসন্ন রাষ্ট্রপতি ভোটে তৃণমূলের কোনও সাংসদ, বিধায়ক বিজেপির রাষ্ট্রপতি প্রার্থীকে ভোট দেবে না। মমতার দাবি, নোটবন্দি থেকে শুরু করে জিএসটি- পুরোটাই বিজেপির দুর্নীতি। সেই দুর্নীতি থেকে সাধারণ মানুষের চোখ ঘোরাতেই কখনও কাশ্মীর, কখনও দার্জিলিংয়ে অশান্তি ছড়াচ্ছে বিজেপি-আরএসএস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement