সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর নিয়ে এতো হুলস্থুলের মধ্যেও আশ্চর্যজনকভাবে নীরব ছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তো নয়ই, তৃণমূল সুপ্রিমো হিসেবেও কোনও মন্তব্য তাঁকে করতে শোনা যায়নি। অথচ, তাঁর দল এবং সরকার দুই তরফেই এ বিষয়ে একাধিক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ঘটনার চারদিন পর অবশেষে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ খুলেই নাম না করে বাবুল সুপ্রিয়কে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির শ্রমিক সমাবেশ ছিল। সেখানেই যাদবপুর ইস্যুতে মুখ খোলেন মমতা। পুরো বক্তব্যে বাবুল সুপ্রিয়র নাম না নিলেও, তাঁর লক্ষ্য যে আসানসোলের সাংসদই তা কথাতেই স্পষ্ট। তিনি বলেন,”মানুষ কথা বলার জায়গা হারিয়ে ফেলছে। যেখানে সুযোগ পাবেন প্রতিবাদ করুন। আপনারাই তো দেখছেন ওঁদের মনোভাব। গায়ের জোরে যা খুশি তাই করছে। যেখানে পারছে গায়ের জোর দেখাচ্ছে। যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে কী করে এসেছে!” এরপরই বাবুলের নিজের লোকসভা কেন্দ্র আসানসোল নিয়ে সরব হন মমতা। তিনি বলেন,”আসানসোল দুর্গাপুরের মানুষ ঢেলে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। বিজেপিকে জিতিয়েছেন। যদি আমি এখন আপনাদের জিজ্ঞেস করি, চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ কোথায়? আসানসোলে। কোল ইন্ডিয়া কোথায়? দুর্গাপুরে। সেল কোথায়? দুর্গাপুরে।”
যাদবপুর কাণ্ডে তৃণমূলের অবস্থান ছাত্রদের পক্ষেই। শুরু থেকেই রাজ্যপাল এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এসেছে মমতার দল। তাই এদিন, বাবুলের নাম না করলেও যাদবপুর সম্পর্কে বিজেপির মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে অনাচার নিয়ে মমতার সরব হওয়াই ইঙ্গিত করছে, তৃণমূল তাঁকে টার্গেট করতে চাইছে। এদিন শ্রমিক সংগঠনের বৈঠকে আরও একাধিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে সরব হন মমতা। বিশেষ করে, একের পর এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রবণতা নিয়ে এদিন ফের সরব হন মমতা। মোদি জমানায় মানুষের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.