সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গায়ের জোরে জরুরি অবস্থা জারি করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। কলকাতা পুলিশের কমিশনার রাজীব কুমারের বাংলোয় সিবিআই আধিকারিকদের হানার ঘটনায় কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯-এ ক্ষমতায় আসবে না জেনেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার, অভিযোগে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। চিটফান্ডের তদন্তের নাম করে প্রত্যেক জায়গায় জোর করে করে ঢুকছে কেন্দ্র। এদিনের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসার ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবার রাজীব কুমারের লাউডন স্ট্রিটের বাংলোয় ঘণ্টাখানেক বৈঠক করার পর বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের নাম করেও কটাক্ষ করেন মমতা। রাজনৈতিকভাবে এঁটে উঠতে না পেরে গায়ের জোরে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করছে কেন্দ্র, অভিযোগ করেন তিনি। তিনি জানান, গোটা বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন তিনি। তার আগে রবিবার রাত থেকেই মেট্রো চ্যানেলে দেশের সংবিধানকে রক্ষা করার জন্য সত্যাগ্রহ ধরনায় বসছেন তিনি।
[রাজীব কুমারের বাংলোর সামনে সিবিআই আধিকারিকরা, ঢুকতে বাধা দিল পুলিশ]
এদিন সাংবাদিকদের সামনে কেন্দ্র থেকে মোদিকে হটানোর ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির প্রতি পূর্ণ সম্মান জানিয়েই তিনি বলেন, এদিনের ঘটনায় তিনিই খুবই মর্মাহত, দুঃখিত। বলেন, ” যে মানুষটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত সিট-এর দায়িত্বে ছিলেন, যাঁর কাঁধে শহরের এত মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব, তাঁকে জেরা করার নামে গোপন অভিযান করার মানে কী? আগে প্রমাণ করুক, রাজীব কুমার কোনওভাবে দোষী। তারপর তাঁকে জেরা করবেন।” এদিন গোটা বিষয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, দেশের সম্প্রীতি, দেশের সম্মান, দেশের সংবিধান রক্ষার জন্য তাঁর এই সত্যাগ্রহ আন্দোলন। তিনি এও বলেন, আগামিকাল সোমবারই রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ হবে। তাই প্রশাসনিক কাজ তার মতো চলবে। মেট্রো চ্যানেলের পাশে একটি ঘরের বন্দোবস্ত করে সেখানে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি কোনও কাজ সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.