সন্দীপ চক্রবর্তী: অমর্ত্য সেনের পর দ্বিতীয় বাঙালি হিসাবে অর্থনীতিতে সস্ত্রীক নোবেল পেয়েছেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন নোবেলজয়ী নিজে এবং তাঁর পরিজনেরা। বুধবার নোবেলজয়ীর হিন্দুস্থান পার্কের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। রীতিমতো বৈঠকী আড্ডার পরিবেশে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাকে শুভেচ্ছা জানান তিনি।
বাঙালির বিশ্বজয়ের কথা জানাজানির পরই সোমবার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার ক্যাবিনেট বৈঠক সেরে সোজা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের হিন্দুস্থান পার্কের বাড়িতে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ফুল, মিষ্টি ও শুভেচ্ছাবার্তা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় কুড়ি মিনিটের মতো নোবেলজয়ীর বাড়িতে সময় কাটান মুখ্যমন্ত্রী। বিকালের বৈঠকী আড্ডার মাঝে নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। নোবেলজয়ীর মাকে শুভেচ্ছা জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গানও করেন ইন্দ্রনীল সেন।
নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একজন বাঙালি নোবেল জয় করেছেন তাতে আমি ভীষণ গর্বিত। অভিজিৎ এবং তাঁর মাকে শুভেচ্ছা জানাই। দারিদ্র দূরীকরণের পন্থা নিয়ে নির্মলাদেবীর সঙ্গে কথা হয়েছে আমার। রাজ্যের গরিব মানুষদের সুবিধায় নানা প্রকল্প রয়েছে। তাই আমি চাই অর্থনীতির সঙ্গে জড়িত নির্মলাদেবীকে নানা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করতে। এ বিষয়ে প্রশাসনিক আধিকারিকরা কথা বলবেন নির্মলাদেবীর সঙ্গে।”
নোবেলজয়ের কথা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বালিগঞ্জের বাড়িতে ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। শুভেচ্ছার জোয়ারে ভাসছেন তাঁর বৃদ্ধা মা। মাঝেমধ্যে ভিড় সামাল দিতে গিয়ে হাঁফিয়ে উঠছেন নোবেলজয়ীর মা নির্মলা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর বেজায় খুশি ওই বৃদ্ধা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে সম্মতিও দেন তিনি। চলতি মাসের শেষেই কলকাতায় আসার কথা রয়েছে নোবেলজয়ীর। একদিনের জন্য কলকাতায় আসবেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.