সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি নির্দেশ অমান্য! অধ্যক্ষকে কাজে যোগ দিতে বাধা। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের (R G Kar Medical College) বিশৃঙ্খলার কথা জানতে পেরে চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। স্পেনে বসেই এ খবর কানে যায় তাঁর। সেখান থেকেই দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দলনেত্রীর নির্দেশ পাওয়া মাত্রই তৃণমূল ভবনে বৈঠক ডাকেন দলের রাজ্য সভাপতি। কড়া ভাষায় আর জি করের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, এ ধরনের পদক্ষেপ সহ্য় করবে না দল। ফের এ ধরনের কাণ্ড ঘটালে সোজা ‘ঘাড় ধাক্কা’ দেওয়া হবে।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যাপক হিসেবে বদলি করে স্বাস্থ্যভবন। বদলে বারাসত মেডিক্যাল কলেজের ডা. মানস বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর জি করের অধ্যক্ষ করে আনা হয়। কিন্তু কাজে যোগ দিয়ে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন তিনি। বাধা দিয়েছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ‘সাঙ্গপাঙ্গ’রা। জনৈক বিরূপাক্ষ সেন ও আরও কয়েকজন অধ্যক্ষের ঘরের সামনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। ফলে উপাধ্যক্ষের ঘরে বসেই কাজ সারতে হচ্ছিল তাঁকে। এ খবর পাওয়া মাত্র তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন সেখানে ছুটে যান। স্পষ্ট করে জানান, সরকার এধরনের ঘটনা সহ্য করবে না। এ বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়েছে রাজ্য। এরপর বিক্ষোভকারীরা অধ্যক্ষকে সহযোগিতার মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিল। যদিও বাস্তবে তা হয়নি। খবর যায় প্রশাসনিক স্তরে। নবান্নেও খবর যায়। পুরো বিষয়টি কানে যেতেই স্পেনে বসেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দলের রাজ্য সভাপতিকে ফোন করে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেন।
দলনেত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর আর দেরি করেননি সুব্রত বক্সি। তড়িঘড়ি ১৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূল ভবনে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বকে ডেকে পাঠান। সূত্রের খবর, গোপন বৈঠকের ১০ মিনিটের মধ্যে কড়াভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, “কোনও বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। পার্টি এসব একদম সহ্য করবে না। আবার কোনও কিছু হয়েছে শুনলে ঘাড় ধরে বের করে দেওয়া হবে।” ভবিষ্যতে যাতে এধরনের কাজ না হয় তা নিয়েও সতর্ক করা হয়েছে তাঁদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.