সন্দীপ চক্রবর্তী: ভাগাড় কাণ্ডে রাজ্যে জুড়ে আতঙ্ক। আতঙ্ক এতটাই, যে হোটেল কিংবা রেস্তরাঁয় তো নয়ই, ছুটির দিনে বাড়িতে আর কেউ মাংস খাচ্ছে না। এমনকী, বিয়েবাড়ির মেনু থেকেও উধাও মাটন কিংবা চিকেন। মঙ্গলবার ভাগাড় কাণ্ডের তদন্তে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মাংস নিয়ে মানুষকে আশ্বস্ত করবে রাজ্য সরকার। পচা মাংসের কারবার রুখতে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
[ভাগাড় কাণ্ডের জাল নিউ মার্কেটেও, মাংস বিশুকে জেরায় মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য]
অনেক বাড়িতেই ছুটির দুপুরে মাংস ছাড়া চলে না। বন্ধু, পরিচিত কিংবা প্রিয়জনের সঙ্গে হোটেল কিংবা রেস্তরাঁয় খেতে গেলেও প্রথম পছন্দ মাটন কিংবা চিকেন। কিন্তু, মাংস ভেবে আপনি যা খাচ্ছেন, তা কি আদৌও মুরগির বা পাঁঠার মাংস? পয়সা দিয়ে ভাগাড়ের মরা কোনও পশুর মাংস খাচ্ছেন না তো? আতঙ্কে রাজ্যবাসী। জানা গিয়েছে, ভাগাড় থেকে মরা পশুর মাংস সংগ্রহ করত একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। তারপর রাসায়নিক মিশিয়ে প্যাকেজিং করে পাঠিয়ে দেওয়া হত শহরের বিভিন্ন নামী হোটেল ও রেস্তরাঁয়। এতদিন পয়সা নিয়ে পচা মাংসই গোগ্রাসে গিলেছে আম বাঙালি! ভাগাড়ের মাংস খেয়ে টালিগঞ্জ ও যাদবপুর এলাকায় দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। ভাগাড় কাণ্ডের মূল পাণ্ডা বিশ্বনাথ ঘোড়ুই ওরফে মাংস বিশুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাকে জেরা করে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে বিপাকে রাজ্য সরকার। ভাগাড় কাণ্ডের তদন্তে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[মরা ছাগলের মাংস বিক্রির চেষ্টা, দোকানদারকে বেধড়ক মার স্থানীয় বাসিন্দাদের]
মঙ্গলবার নবান্নে পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভাগাড় কাণ্ডে তদন্তে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন আরও ৯ জন সদস্য। গোটা ঘটনার তদন্ত করে রাজ্য সরকারকে রিপোর্ট দেবেন কমিটির সদস্যরা। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মাংস নিয়ে মানুষকে নিশ্চয়তা দিতে পারবে প্রশাসন। এদিকে ভাগাড় কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মাংস বিশুকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, কলকাতা পুরসভার নাকে ডগায় নিউ মার্কেটেও আনা হত ভাগাড়ের মাংস। নিউ মার্কেট থেকে প্যাকেটজাত হয়ে সেই মাংস পৌঁছে যেত শহরের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তরাঁয়।
[শিলিগুড়িতে ফের দেখা মিলল চিতার, খাঁচাবন্দি করতে তৈরি বনদপ্তর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.