সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতি বছরের একই রুটিন। চেতলা অগ্রণীর (Chetla Agrani Club) পুজো প্রস্তুতি যেন সম্পূর্ণ হয় না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে দেবী দুর্গার চক্ষুদান ছাড়া। করোনা কালেও তার ব্যতিক্রম হল না। এ বছরও তিনি দক্ষিণ কলকাতার এই বিখ্যাত পুজো মণ্ডপে সশরীরে হাজির হলেন। রং, তুলি হাতে নিয়ে এঁকে দিলেন দেবীর ত্রিনয়ন। সোমবার, পুজোর ঠিক ১০ দিন আগে এভাবেই ষোল আনা সম্পূর্ণ হল চেতলা অগ্রণীর পুজোর প্রস্তুতি।
সোমবার নবান্ন থেকে নিজেই ঘোষণা করেছিলেন, এ বছর করোনা পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) আয়োজন করতে হচ্ছে। একাধিক স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে তবেই পুজো সুসম্পন্ন করা যাবে। এই পরিস্থিতিতে নিজে কোথাও যাবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেসব পুজো উদ্যোক্তারা মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে তাঁদের পুজোর উদ্বোধন করাতে চান, তাঁরা আবেদন করলে, তার ভিত্তিতে ভারচুয়ালি উদ্বোধন করে দেবেন।
তবে ব্যতিক্রম ছিল একটিই। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পুজো বলে সুপরিচিত চেতলা অগ্রণীর মণ্ডপ। এখানে প্রতি বছরই মুখ্যমন্ত্রী গিয়ে দেবীর চক্ষুদান করেন। এবছরও করলেন।
এদিন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে যান ‘জাগো বাংলা’ পত্রিকা দপ্তরে। সেখানে পুজোবার্ষিকী উদ্বোধন করেন।
এরপর সেখান থেকে সন্ধে ৬টা নাগাদ চলে যান চেতলা অগ্রণীর পুজোয়। প্রথমে মণ্ডপে ঢুকেই কাজে মন দেন। রং-তুলি হাতে দুর্গামূর্তির ত্রিনয়ন এঁকে দেন। এরপর মণ্ডপ কেমন হল, তা ঘুরেফিরে দেখেন। কথা বলেন পুজোর মূল উদ্যোক্তা ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে। এরপর আর সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি কোনও বক্তব্য রাখেননি। সোজা বেরিয়ে গাড়িতে উঠে যান। এরপর আর তিনি কোনও পুজোর উদ্বোধনে যাবেন না। সবই রিমোটের বোতামে আঙুল ছুঁইয়ে ভারচুয়ালি উদ্বোধন করবেন।
ছবি: অমিত ঘোষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.