সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪-এ লক্ষ্যে নবান্নে ৩ মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক শেষে আরও একবার বিরোধী ঐক্যের বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে পাশে বসিয়ে মমতা (Mamata Banerjee) বলে দিলেন, সবাইকে একজোট করতে পারলে রাজ্যসভাতেও বিজেপিকে হারানোর একটা সুযোগ এসেছে।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) নবান্নে এসেছিলেন দিল্লির আমলাদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্র যে অর্ডিন্যান্স এনেছে তার বিরুদ্ধে সমর্থন জোগাড় করতে। সঙ্গে এনেছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান এবং আপের শীর্ষ নেতাদেরও। মমতা-মান এবং কেজরিওয়ালকে পাশে বসিয়ে দিল্লি অর্ডিন্যান্স রুখতে আপকে সমর্থনের করার বার্তা দিলেন মমতা। বললেন, সুযোগ এসেছে ২০২৪-এর আগে রাজ্যসভায় বিজেপিকে হারানোর। সব দলকে একজোট করতে পারলে বিজেপিকে হারানো যাবে।
মমতার কথায়, “দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র বাঁচাতে পারে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও ওরা মানছে না। এই সরকার বুলডোজারের সরকার, এজেন্সির সরকার, ওরা সংবিধানের উপর বুলডোজার চালিয়ে দিচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা, আগামী দিনে দেশের নাম তথা সংবিধানও বদলতে দিতে পারে বিজেপি। তিনি বলেন, “চিন্তা হচ্ছে, কবে দেশের নাম-সংবিধান না বদলে দেয়। দেশের নামও নিজের দলের নামে না করে দেয়।” সব বিরোধী দলের কাছে মমতার আরজি, বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবাইকে একজোট হতে হবে। তৃণমূল নেত্রী বলছেন, বিজেপিকে একটা ভোটও দেওয়া যাবে না। এমনকী বিজেপির মধ্যেও অনেকে আছেন যারা এই সরকারের কাছে অসন্তুষ্ট। তাঁদের কাছেও অবিজেপি দলগুলিকে সমর্থনের আরজি জানিয়েছেন মমতা।
অরবিন্দ কেজরিওয়ালও এদিন বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তাঁর ভাষায়, “সরকার চালানোর নামে ‘তামাশা’ চলছে। ওরা দেশের বিচারব্যবস্থাকেও মানছে না। দিল্লিবাসী ৮ বছর যে জিনিসটার জন্য লড়াই করছে। সেটা ওরা এক সপ্তাহে অর্ডিন্যান্স এনে বন্ধ করে দিল।” কেজরিওয়ালের পাশে দাঁড়িয়ে মমতার এই অর্ডিন্যান্স বিরোধিতার বার্তা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ইতিমধ্যেই কংগ্রেস আপকে সমর্থন করার বার্তা দিয়েছে। সব ঠিক থাকলে দীর্ঘদিন বাদে রাজ্যসভায় সম্মিলিত বিরোধীদের একত্রে দেখা যেতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.