ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে টানা ৩০ ঘণ্টার ধরনা কর্মসূচি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। প্রথম দিনই এই মঞ্চ থেকে কেন্দ্র বিরোধিতায় সুর চড়িয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনেও ধরনায় বসার সাহস রাখেন তিনি। আর শেষদিন আন্দোলনের ধার আরও বাড়াতে তিনি হাতিয়ার হিসেবে তুলে নিলেন নেতাজির (Netaji Subhas Chandra Bose) স্লোগান – ‘দিল্লি চলো’। বললেন, ”আরও এক দফা হোক চলো, দিল্লি চলো। নেতাজি, গান্ধীজি, আম্বেদকর, রবীন্দ্রনাথ, নজরুলকে ছবি হাতে নিয়ে আমরাও দিল্লি যেতে পারি।”
শুধুই কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলন নয়, আসলে রেড রোডে (Red Road) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ধরনা মঞ্চ যে আরও অনেক কিছুই, তা প্রতি মুহূর্তেই বোঝা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর একেকবার একেক বক্তব্যে সেই সুরই বেঁধে দিচ্ছেন বারবার। বুধবারও তিনি এই মঞ্চ থেকে বিরোধী ঐক্যের কথা বলেছিলেন। আর বৃহস্পতিবার সেই বার্তা আরও স্পষ্ট করলেন। তাঁর কথায়, ”আমি সব বিরোধী দলকে যেমন বলছি, তেমনই বুদ্ধিজীবী, ছাত্র, যুব সবাইকে বলছি – জোট বাঁধো। মানুষের উপর জুলুম না কমলে আবার ‘চলো দিল্লি চলো’ হবে। আমরা নেতাজি, গান্ধীজি, আম্বেদকরের ছবি হাতে নিয়ে আমরাও দিল্লি যেতে পারি। কী করে আটকাবেন? ট্রেন দেবেন না? নিজেরা ট্রেন ভাড়া করে যাব।”
এই ধরনার আগে পরপর কয়েকদিন বিরোধী নেতাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা-সাক্ষাতে বিরোধী ঐক্যে ফের শান দেওয়া হচ্ছিল। রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজের পর তৃণমূল তাদের পাশে দাঁড়িয়েও আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলির শক্তিতে জোর দিয়ে প্রধান বিরোধী হিসেবে গুরুত্ব দেওয়ার বার্তা দিয়েছিল। আর রেড রোডের মঞ্চ থেকে ফের বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ (Opposition United) হওয়ার ডাক দিলেন। এবং কেন্দ্র বিরোধী বড়সড় আন্দোলনে তিনিই যে পথপ্রদর্শক, বোঝালেন তাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.