Advertisement
Advertisement

Breaking News

তাপস পাল

কেন্দ্রের প্রতিহিংসার শিকার তাপস পাল! অভিনেতার শেষযাত্রায় বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী

'অসময়ে চলে গেল তাপস, আমি মর্মাহত', বললেন মুখ্যমন্ত্রী।

Mamata Banerjee blasts center for Tapas Pal's demise
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 19, 2020 12:41 pm
  • Updated:February 19, 2020 6:34 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাপস পালের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে অকারণে লাঞ্চনা এবং গঞ্জনার শিকার হতে হয়েছে প্রাক্তন সাংসদকে। মৃত্যুর আগে তাপস পাল ভিতর থেকে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিলেন। সে কারণেই অকালে চলে যেতে হল তাঁকে। প্রকারন্তরে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির শিকার হতে হয়েছে প্রয়াত অভিনেতাকে।

বুধবার প্রয়াত তাপস পালকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্র সদন যান মুখ্যমন্ত্রী। চোখের জলে শেষশ্রদ্ধা জানান ভ্রাতৃসম অভিনেতাকে। তারপরই বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন মমতা। তিনি বলেন,” আজ আমি একটা কথা বলতে চাই। ভাববেন রাজনীতি করছি। কিন্তু, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি। তাপস মানসিকভাবে নিজেকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছিল। বিজেপির চাপে ওঁ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত জানতেই পারল না ওঁর দোষটা কোথায়। একটা এন্টারটেইনমেন্ট চ্যানেলে ডিরেক্টর ছিল। সেজন্য মাইনে পেয়েছিল। সামান্য এই কারণের জন্য ওঁকে অ্যাডভান্স জেলে রাখা হল। কোনও চার্জশিটও পেশ করা হয়নি। এটা কেমন নিয়ম?”

Advertisement

 

[আরও পড়ুন: ‘পয়সা ছিল না, পেপারে মুখ ঢেকে লোকাল ট্রেনেই যাতায়াত করতেন’, তাপসের স্মৃতিচারণায় বন্ধুরা]

মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, “শিল্পীদের জন্য একটা কথা বলতেই হচ্ছে। শিল্পীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে। বিভিন্ন প্রডাকশন হাউসে কাজ করে। বিভিন্ন সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবেও কাজ করে। কিন্তু তাই বলে অকালে ঝরে যাবে মূল্যবান প্রাণগুলো? সেগুলো কী ঠিক? কেন্দ্রের এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ এবং প্রতিহিংসামূলক পরিকল্পনার জেরেই আজ অসময়ে চলে গেল তাপস। কেউ যদি আইন ভাঙে, আইন আইনের মতো চলবে। তাই বলে এটা নয় যে, দিনের পর দিন এভাবে লাঞ্চনা, বঞ্চনা সহ্য করতে হবে।”

tapas-mamata

[আরও পড়ুন: ‘বাঁশি’ ছবি দিয়েই ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরতে চেয়েছিলেন, শুটিং অসম্পূর্ণ রেখেই চলে গেলেন ‘সাহেব’]

শুধু তাপস পালের নয়, আরও দুটি মৃত্যুর জন্য এদিন প্রকারন্তরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করেন মমতা। তিনি বলেন, “তিনটি মৃত্য। একটা সুলতান আহমেদ। সুলতানের মৃত্যুর আগে ওর বাড়িতে ফোন করেছিলাম। ওঁর বাড়ির লোক বলে, একটা ফোন এল, তারপরই বাথরুমে ঢুকে মারা গেল। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বউ মারা গেল। তাপস পালও আজ চলে গেল। তার তো যাওয়ার কথা নয়। তাপস পালের অকালমৃত্যু। সুলতান আহমেদের (Sultan Ahmed) অকালমৃত্যু। প্রসূনের বউয়ের অকালমৃত্যু। আমি আজ তাপসের চোখের দিকে তাকাতে পারছি না। দিনের পর দিন গঞ্জনা, লাঞ্চনার শিকার হয়েছে তাপস। আমি মানসিকভাবে মর্মাহত।” এদিন শ্রীকান্ত মেহতা এবং একজন বর্ষীয়ান সাংবাদিককে সিবিআইয়ের আটকে রাখা নিয়েও সরব হয়েছেন মমতা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement