Advertisement
Advertisement
মূর্তি ভাঙা

‘বিজেপির কাজে আমরা লজ্জিত, ক্ষমাপ্রার্থী’, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে তীব্র শ্লেষ মমতার

বেহালার জনসভা শেষে বিদ্যাসাগর কলেজে যান মমতা।

Mamata Banerjee blames BJP for vandalising Statue
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 14, 2019 9:11 pm
  • Updated:May 14, 2019 9:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদ্যাসাগর কলেজে হামলা, এবং বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বেহালার সভা থেকে কেন্দ্রের শাসকদলকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বললেন, ” আমার বাংলায় হেরিটেজে হাত দিলে আমার থেকে ভয়ংকর কেউ হবে না। বাংলার মণীষীদের গায়ে হাত দিলে কাউকে ছাড়ব না।” বেহালার সভা থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউপি-দিল্লি থেকে গুন্ডাদের নিয়ে এসে মিটিং করাচ্ছে। ওরা জানে না, ওরা কী করছে। বিদ্যাসাগর কে ওরা বোঝে? বাংলার মণীষীরা কী করেছে ওরা জানে? ‘ বেহালার জনসভা শেষে রাতে বিদ্যাসাগর কলেজে যান মুখ্যমন্ত্রী। কলেজের বাইরে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলের এমন দাঙ্গা, তিনি আগে দেখেননি।’

[আরও পড়ুন: ‘টাকা নয়ছয় ধরতে পারলে রেয়াত নয় প্রশাসনের কর্তাদেরও’, হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর]

বেহালার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে তীব্র শ্লেষের সঙ্গে বিঁধেছেন। তিনি বলেন, “বিজেপির এই কাজে আমরা লজ্জিত, আমরা দুঃখিত। ওদের হয়ে আমরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছে। ইউপি-দিল্লির গুন্ডারা জানে না, বিদ্যাসাগর কে।যারা মিছিলের নামে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে, বিদ্যাসাগর কলেজের গেট ভাঙে, তাদের কোনও ক্ষমা আছে? দিল্লির গুন্ডা নেতারা আমাদের হেরিটেজকে অপদস্থ করল। আমার বাংলার সংস্কৃতির গায়ে হাত দিলে আমার থেকে ভয়ংকর কেউ হবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “কেন পুলিশ ওদের পারমিশন দিল? যারা মিটিংয়ের নামে গুন্ডামি করে, তাদের পারমিশন দেওয়া উচিত নয়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: অমিত শাহর রোড শো ঘিরে রণক্ষেত্র কলেজ স্ট্রিট, বিজেপি-টিএমসিপি তুমুল সংঘর্ষ]

এরপর বেহালার সভামঞ্চেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ডেকে তিনি বিদ্যাসাগর কলেজে যাওয়ার নির্দেশ দেন। দলনেত্রীর নির্দেশ, “পার্থদা, আপনি এখনই বিদ্যাসাগর কলেজে যান। সভা আমি সামলে নেব। গিয়ে অধ্যাপকদের সঙ্গে কথা বলুন। কলেজের তরফ থেকে ওঁরা একটা সরকারিভাবে অভিযোগ করুক।” মমতার নির্দেশ পেয়েই বিদ্যাসাগর কলেজে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছাত্রছাত্রী এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। শোনেন তাঁদের অভিযোগের কথা। শিক্ষামন্ত্রী নিজেও বলেন, “বিজেপির এই আচরণে আমরা লজ্জিত। এর কোনও ক্ষমা নেই।” বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ অবশ্য পালটা তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন। বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলছেন, নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগই শুনছে না। কমিশন তৃণমূলের প্রতি নীরব। বাংলার সব গুন্ডা নেতাদের শেষ দফা ভোটের আগেই বন্দি করা উচিত। 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement