সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতি আয়োগের বৈঠকে মাইক বন্ধ ইস্যুতে ফের কেন্দ্রকে একহাত নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই মমতার আনা মাইক বন্ধের অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্র। সাফাইয়ের সুরে বলে হয়েছে, প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রী বলার সুযোগ পেয়েছেন। মোদি (Narendra Modi) সরকারের সেই দাবিকে স্রেফ ‘শাখ দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা’ হিসাবে বর্ণনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, নিজেদের মুখ বাঁচাতে শাখ দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।
নীতি আয়োগের (Niti Aayog) বৈঠক ছেড়ে মাঝপথে বেরিয়ে এসে সোজা কলকাতায় ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই তিনি অভিযোগ করলেন, “আমার আগে চন্দ্রবাবু নায়ডু বলেছে ২০ মিনিট। অসম, অরুণাচল, ছত্তিশগড়, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীরা কেউ ১৫ মিনিট বলেছে, কেউ ১৬ মিনিট বলেছে, কেউ ২০ মিনিট বলছে। আর আমারটা যেই পাঁচ মিনিটে পড়তে যাবে সঙ্গে সঙ্গে বেল টিপে টিপে ‘স্টপ’ স্টপ স্টপ’ বলে দেওয়া হল।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এরপরই তিনি ওয়াকআউট করে চলে আসেন।
বস্তুত নীতি আয়োগের বৈঠক থেকে বেরিয়েই মমতা দাবি করেছিলেন, তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র অবশ্য মমতার মাইক বন্ধের অভিযোগ অস্বীকার করছে। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তরফে টুইট করে দাবি করা হয়েছে, নীতি আয়োগের (Niti Aayog) বৈঠকে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়ার যে অভিযোগ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সেটা বিভ্রান্তিকর। পিআইবির দাবি, মমতাকে (Mamata Banerjee) একটি ঘড়ি দেখানো হয়েছিল, তাঁর বলার সময়সীমা শেষ হয়ে আসছে সেটা বোঝাতে। এমনকী ঘণ্টাও বাজানো হয়নি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও দাবি করেছেন, “সব মুখ্যমন্ত্রীকে সমানভাবে বলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। মমতা যে অভিযোগ করেছেন, সেটা সঠিক নয়।”
নির্মলার সাফাই সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী সাফ বলে দেন, “এটা পুরোটাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা। নিজেদের মুখ বাঁচাতে এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছে। আমি একজন সিনিয়র পলিটিসিয়ান। এতবারের জনপ্রতিনিধি। তাঁকে অসম্মান করা হয়েছে। পাঁচ মিনিট হতে হতেই বার বার ঘণ্টা বাজিয়ে থামানো হয়েছে। সেটার মানেটা কী!” মমতার কথায়,”বিরোধী দলগুলির একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে আমি গিয়েছিলাম। অথচ, আমার সঙ্গেই এই আচরণ করা হল। এটা সব বিরোধীদের অপমান। এখন মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বাংলার বঞ্চনা মানছি না। বৈঠক বয়কট করে ঠিক করেছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.