সন্দীপ চক্রবর্তী: করোনার বিরুদ্ধে প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করছেন চিকিৎসকরা। এবার ডাক্তারি পড়ুয়াদেরও আনা হবে সেই ময়দানে। তাঁদের কথা ভেবেই বড়সড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁদের দেওয়া হবে ইনসেনটিভ। মিলবে কোভিড ওয়ারিয়র সার্টিফিকেটও। বুধবার নবান্নে একথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করছেন এমন করোনা যোদ্ধাদের ভরতির জন্য প্রতি বছর ১০ শতাংশ করে ইনসেনটিভ দেওয়া হবে। তাঁদের দেওয়া হবে কোভিড ওয়ারিয়র সার্টিফিকেটও। পরীক্ষার পর ১ জুলাই থেকে কাজ করতে পারবেন তাঁরা। ইনটার্ন হিসাবে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের ৩ বছরের বন্ড থাকে। করোনা যোদ্ধা হিসাবে তাঁরা যতদিন কাজ করবেন, তাঁদের সেই সময়সীমা বন্ড থেকে বাদ দেওয়া হবে। হাউসস্টাফদেরও বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হবে। চতুর্থ বর্ষের আন্ডার গ্র্যাজুয়েটদেরও কোভিড ট্রেনি হিসাবে ব্যবহার করা হবে। তবে যাতে পড়াশোনাতে সমস্যা না হয় তাই রোটেশন ভিত্তিতে তাঁরা কাজ করতে পারবেন। নন ক্লিনিক্যাল ডাক্তার এবং সিনিয়র রেসিডেন্টদেরও পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো হবে।”
রাজ্যে ঠিকমতো করোনা (Corona Virus) পরীক্ষা করা হচ্ছে না বলে বারবার অভিযোগের সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। তবে এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতির খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত রাজ্যে ১৬ হাজার ৫০০টি করোনা পরীক্ষার ল্যাব ছিল। তবে ধীরে ধীরে ল্যাবের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমানে সাড়ে ৩ লক্ষের বেশি পরীক্ষা হয়েছে।” রাজ্যে সুস্থতার হার যে যথেষ্ট বেশি তাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে সুস্থ হয়ে ৫০.৬৮ শতাংশ মানুষ।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৭৭টি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। তবে বারবারই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের হাসপাতালে ভরতি হওয়ার কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। এবার তাঁদের জন্য নয়া ব্যবস্থা রাজ্যের। তৈরি করা হল ১০৪টি সেফ হোম সেন্টার। সেখানে একেবারেই মৃদু উপসর্গযুক্ত করোনা রোগীদের রাখা হবে। চিকিৎসকরাই তাঁদের চিকিৎসা করবেন। এছাড়াও করোনা রোগীদের জন্য আর কত বেড বাকি রয়েছে সে বিষয়ে প্রতিদিন ঘণ্টায় ঘণ্টায় বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে আপডেট দিতে বলেও নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিবের বৈঠকেরও কথা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.