Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee

‘গণতন্ত্র নেই, দেশ রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে’, হাথরাসের প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন মমতা

মিছিল শেষে ধর্মতলার প্রতিবাদ সভা থেকে নির্যাতিতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

Mamata Banerjee accusses of not having democarcy in the country regarding Hathras incident| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 3, 2020 4:46 pm
  • Updated:October 3, 2020 5:00 pm  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মন পড়ে আছে গ্রামে। ছুটে যেতে ইচ্ছে করছে সেই গ্রামে। দলের প্রতিনিধিদলকে পাঠিয়ে কী দেখা গেল? গ্রামে ঢোকার ১ কিলোমিটার আগে পুলিশ আটকে দিল। এমনকী মহিলাদের গায়েও হাত তোলা হল। হাথরাস গণধর্ষণের (Hathras Gangrape) প্রতিবাদে শনিবার রাজপথে মিছিলের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে এভাবেই নির্যাতিতার পরিবারের প্রতি সুদূর কলকাতা থেকে নিজের সমবদেনার বার্তা পৌঁছে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এরপরই গর্জে উঠলেন, ”দেশে আর কোথাও গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটা নেই। রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে যাচ্ছে। বিজেপির আমলে ওয়ান নেশন, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টি হয়ে যাচ্ছে।”

গত বছর লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে প্রার্থীদের হয়ে প্রচারের পর যে পদযাত্রা করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার রাজপথে সেই স্মৃতি ফিরল কোভিড আবহে। তবে এটা কোনও রাজনৈতিক মিছিল নয়। বরং অন্যায়ের প্রতিবাদে এই পদযাত্রা। ইস্যু উত্তরপ্রদেশের হাথরসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণ, খুন। এহেন নৃশংস ঘটনার বিধি মানায় কোনও ত্রুটি নেই। একেবারে সামাজিক দূরত্ব একেবারে মাপা। একটুও কাছে ঘেঁষার জো নেই। মিছিল যতই দীর্ঘ হোক, ‘ভিড়ে ঠাসা’ কথাটা বোধহয় বলা যাবে না। সকলেই নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে হাঁটছেন। প্রতিবাদ মিছিলে জনতার স্বতঃস্ফূর্ত যোগদানের জন্য তাঁদের ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি নেতারা চূড়ান্ত কাপুরুষ’, হাথরাস কাণ্ড নিয়ে ফের তোপ দাগলেন সাংসদ নুসরত ]

ঘড়িতে ঠিক বিকেল ৪টে। বিড়লা তারামণ্ডল থেকে হাঁটা শুরু করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে অগণিত সমর্থক, সাধারণ মানুষ। তৃণমূলের মিছিল নয়, দলিত তরুণীর গণধর্ষণ, খুনের প্রতিবাদ আজ মমতার প্রতিবাদী পদক্ষেপে পা মিলিয়েছেন আমজনতাও। সঙ্গে ফেস্টুন, ব্যানার, গান, স্লোগান। বিড়লা তারামণ্ডল থেকে জওহরলাল নেহরু রোড, পার্ক স্ট্রিট ফ্লাইওভার ধরে ধর্মতলার মেয়ো রোডে মিছিল পৌঁছতে লাগল মেরেকেটে ২৩ মিনিট। সেখানে সামান্য বিশ্রাম নিয়ে বক্তব্য রাখতে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

[আরও পড়ুন: করোনা আবহে ছ’মাস বকেয়া মেটায়নি স্বাস্থ্যদপ্তর! নাজেহাল রাজ্যের ওষুধ সরবরাহকারীরা]

শুক্রবার হাথরাসে নির্যাতিতা তরুণীর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে গ্রামের পথ ধরেছিলে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। পুলিশি বাধায় সেখানে প্রবেশ করতে পারেননি। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে রীতিমত আহত হন ডেরেক ও ব্রায়েন-সহ জনা কয়েক সাংসদ। রেহাই পাননি মহিলা সাংসদরাও। তার বিরোধিতাতেই এদিন প্রতিবাদে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে প্রশ্ন তুললেন, কেন উত্তরপ্রদেশে মেয়েরা এত নিরাপত্তাহীন? কেন যোগী রাজ্যের পুলিশ রাতের অন্ধকারে দেহ পুড়িয়ে ফেলল? বিজেপিকে ‘দেশের লজ্জা’ বলেও অভিহিত করেন মমতা। সবশেষে স্লোগান – ‘উত্তরপ্রদেশের দলিতদের উপর অত্যাচার হচ্ছে কেন/বিজেপি জবাব দাও।’ স্লোগান উঠল – ‘বিজেপি দূর হঠো’, ‘আর নেই দরকার/বিজেপি সরকার’। সমবেত জনতার কণ্ঠে তখন বিজেপি বিরোধী স্লোগানে মুখর গোটা ধর্মতলা। কলকাতার বুক থেকে সেই সুর যেন ছড়িয়ে পড়ল দেশের সর্বত্র।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement