ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বেশ অনেকটাই নিরাশ করেছে শাসক শিবিরকে। সেই ফলাফলের আঁচ কোনওভাবেই যাতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে না পড়ে সেই কারণে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল। জন সংযোগে বিশেষভাবে জোর দিতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ইতিমধ্যেই কোথায় ঠিকঠাক পরিষেবা মিলছে না, জনগণের কাছ থেকে এসব খবর আদায় করতে আদাজল খেয়ে লেগে পড়েছেন সরকারের প্রতিনিধিরা। এবার সেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারে সোমবার দেখা গেল মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সাংসদ মালা রায়কে।
জনসংযোগের উদ্দেশ্যে এদিন নিজের এলাকায় বেরিয়ে পড়েন মালা রায়। স্থানীয় বাসিন্দা ও দলের কর্মীদের বাড়িতে যান তিনি। কথা বলেন সকলের সঙ্গে। শোনেন সকলের অভাব, অভিযোগ। আশ্বাস দেন সমস্যা সমাধানেরও। সন্ধেবেলা কর্মীদের সঙ্গে খোশমেজাজে চপ-মুড়িও খেলেন তিনি। এরপর নিজের সংসদীয় এলাকা কলকাতা দক্ষিণেরই বাসিন্দা পায়েল মল্লিক নামে দলের এক সক্রিয় কর্মীর বাড়িতে রাত্রিযাপন করেন৷ স্বাভাবিকভাবেই সাংসদকে কাছে পেয়ে সমস্যার কথা বলেন অনেকেই। অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচির পাশাপাশি রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্পের প্রশংসা করেন।
অন্যদিকে, এদিন একইভাবে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারে বেহালা পশ্চিমের সোনালি পার্ক এলাকায় যান মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িতে হাজির হয়ে তাঁদের কথা শোনের তিনি। এরপর রাতে দলের এক কর্মীর বাড়িতেই থাকেন। সেখানেই নৈশভোজ সারেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মন্ত্রী এলাকায় রয়েছেন জানতে পেরে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে হাজির হন অনেকেই। সকলের সঙ্গেই কথা বলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরুর পর থেকেই জন সংযোগ বাড়াতে তৃণমূল কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতারা হাজির হয়েছেন দলীয় কর্মীদের বাড়িতে। এলাকার বাসিন্দাদের কাছে গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা শুনেছেন। বাদ যাননি মিমি চক্রবর্তী, লক্ষ্মীরতন শুক্লার মতো তারকারাও। জন সংযোগ বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর এই কর্মসূচির সিদ্ধান্ত কি ইতিবাচক ভূমিকা নিতে পারবে বিধানসভা নির্বাচনে? সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মধ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.