ছবি: প্রতীকী
গোবিন্দ রায়: ঋণ দেওয়ার নামে প্রথমে অ্যাপ ডাউনলোডের পরামর্শ। আর সেই অ্যাপের ফোনে ডাউনলোড করতেই সব শেষ। মুহূর্তে অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব কোটি টাকা। গত বছর এই ঘটনা ঘটেছিল কলকাতারই এক বিপণন সংস্থার কর্ণধারের সঙ্গে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে চক্ষু চড়কগাছ লালবাজারের সাইবার শাখার গোয়েন্দাদের। জানতে পারেন,ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া গ্যাংয়ের মতোই হায়দরাবাদেও এমন এক প্রতারণা চক্র তৈরি হয়েছে।
তদন্তের জাল গোটাতে শুরু করতেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে কেমি রেড্ডি ও নাকা রজ্জু নামে দুই দুষ্কৃতী। এবার প্রতারণা চক্রের মাথাকেই নিজেদেরে হেফাজত নিল পুলিশ।
গতবছর মার্চ মাসে কলকাতার এক বিপণনকারী সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে সাফ হয়ে গিয়েছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। পুরো হাত সাফাইটা করা হয়েছিল হায়দরাবাদ থেকে। তদন্তে নেমে এর আগে দু’ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। দু’ জনেই হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা। সেই সূত্র ধরে এবার প্রতারণা চক্রের অন্যতম মাথা নিদ্রা জগদীশকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতকে হায়দরাবাদ থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে সোমবার কলকাতায় আনা হয়। মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে আগামী ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জামতারা গোষ্ঠীর মতো সম্প্রতি হায়দরাবাদে একটি ব্যাংক প্রতারণা চক্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। কখনও অ্যাপ ডাউনলোডের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, আবার কখনও ই-সিম ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়ে হাত সাফাই করা হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। গতবছর মার্চ মাসে ঠিক তেমনটাই হয়েছিল কলকাতার এক বিপণন সংস্থার কর্ণধারের সঙ্গে। ঋণ দেওয়ার নামে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সাফ করে তুলে নেওয়া হয় ১ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা। এবার সেই জালিয়াতির মূল পাণ্ডা কলকাতা পুলিশের হাতে। তাকে জেরা করে এই চক্র সম্পর্কে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলবে বলেই মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.