সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “প্রেমে হাত দেবেন না প্লিজ।” প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রেমে লাগাম টানার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এভাবেই পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ালেন মদন মিত্র।
পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, প্রেসিডেন্সি (Presidency University) কর্তৃপক্ষ যেন নীতি পুলিশের ভূমিকায়। ছাত্রছাত্রীরা রোমিও-জুলিয়েট হয়ে উঠলেই রণচণ্ডী মূর্তি ধারণ করা হচ্ছে! বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেম করলে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কর্তৃপক্ষ। পাবলিক প্লেসে অর্থাৎ প্রকাশ্যে ঠিক কতখানি মেলামেশা করা যাবে, তার মাপকাঠি ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। এমনকী প্রয়োজন মনে করলে যুগলের অভিভাবকদেরও তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এবার পড়ুয়াদের হয়েই সুর চড়ালেন কামারহাটির ‘কালারফুল’ বিধায়ক। মদন মিত্র (Madan Mitra) বলছেন, “গার্জেনদের ডেকে কি পর্নোগ্রাফি দেখাবে? প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা জানে কতটা কী করা যায়। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, প্রেমে হাত দেবেন না প্লিজ।”
প্রেমের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক দলগুলির কর্মকাণ্ডেও রাশ টানা হচ্ছে। যার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে এসএফআই। ডিন অফ স্টুডেন্টসকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে এসএফআইয়ের তরফে। এর মধ্যেই এবার প্রেসিডেন্সির বিরুদ্ধেই সোচ্চার হলেন মদন মিত্র। তাঁর কথায়, “প্রেমটা খুব কঠিন বিষয়। মেরেছ কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম দেব না? প্রেম বন্ধ হয়ে গেলে বিয়ে কম হবে। আর বিয়ে কম হলে ডেলিভারি কমবে। ডেলিভারি কম হলে স্কুলে পড়ুয়া কম হবে। তাছাড়া দু’টো ছেলেমেয়ে একসঙ্গে বোটানি, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি থেকে জুলজি সব আলোচনা করতে পারে। কেউ বাধা দিতে পারে না।”
গোটা বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাফাই, নীতি পুলিশি করা হচ্ছে না। কিন্তু বেশ কিছু ব্যক্তিগত ঘটনা ঘটছে ক্যাম্পাসে। সেই কারণেই তাদের তরফে ছাত্র বা ছাত্রীদের সঙ্গে তাঁদের অভিভাবকদের ডেকেও কাউন্সেলিং করানো হচ্ছে। তবে তৃণমূল বিধায়ক বলে দিচ্ছেন, “প্রেম চিরন্তন। প্রেমের পবিত্র শিখা চিরন্তন জ্বলে। প্রেম বন্ধ করা যাবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.