ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শুক্রবার এসএফআই ছাত্রনেতা ও সমর্থকদের মিছিল ঘিরে শহরজুড়ে ধুন্ধুমার। পুলিশের নিরাপত্তাবদল টপকে বিধানসভা গেট পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। এমনকী গেট টপকে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন সৃজন ভট্টাচার্যরা। যা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এসএফআইকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। পালটা আবার বাম-তৃণমূল আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে দিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তৃণমূলকে (TMC) রুখতে সমবায় নির্বাচনে রাম-বাম জোটের কথা তুলে ধরেছিল শাসক শিবির। এসএফআইয়ের মিছিলেও কার্যত সেই প্রসঙ্গে টেনে এনে বিজেপির সঙ্গে বামেদের হাত মেলানোর অভিযোগ তুললেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। এদিন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক বলে দেন, “শুনলাম সৃজন নাকি গেট টপকাচ্ছে। আসলে এটাই ওদের ভবিতব্য। বিধানসভায় ওরা হেঁটে ঢুকতে পারবে না। ওই গেট টপকে, পিছনের গেট দিয়ে লুকিয়েই ঢুকতে হবে। কারণ বিজেপির দালালি করে বিধানসভার গেট খুলে দিয়ে নির্বাচিত হিসেবে ঢোকা যায় না। গেট টপকাতে হয়। হনুমান টপকায়, বাঁদর টপকায়। ওরাও টপকেছে।”
এরই আবার পালটা দিয়ে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলে দেন, বিজেপির মিছিল আটকে দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। কিন্তু বাম ছাত্রনেতারা বিধানসভার গেট পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। স্পিকারের কাছেও পৌঁছেই যেত। এতেই স্পষ্ট বামেদের সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাঁত।
এদিকে, এসএফআই সমর্থকদের যেভাবে ছত্রভঙ্গ করে আটক করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করেন সুজন চক্রবর্তী। সিপিএম নেতা বলেন, “রাজ্যের সরকার শিক্ষাকে ধ্বংস করছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। শিক্ষায় দুর্নীতি ভয়ংকর। গোটা শিক্ষদপ্তরই জেলে। বিধানসভা অধিবেশন হয়ে গেল, অথচ তা নিয়ে কোনও আলোচনা হল না। ছাত্ররা আগে থেকে চিঠি দিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছে। স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছে। তাঁরা সময় দিতে পারলেন না! কী এমন কাজ আছে? এই আন্দোলনে গোটা প্রশাসন ভয়ে ভীত। ছাত্রদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য পুলিশবাহিনীকে কাজে লাগিয়েছে সরকার। আমি স্যালুট জানাচ্ছি, ছাত্রদের এই আন্দোলনকে। তাদের বলা হয়েছিল মিছিল করতে দেবে না। তারা করেছে। বিধানসভায় যেতে দেবে না। তারা গিয়েছে। ছাত্র আন্দোলন প্রাথমিক ভাবে তার জয় দেখিয়েছে। এবার এর আলোচনা করে প্রশাসনকে নিজেদের শিক্ষা বিরোধী মনোভাব খারিজ করতে হবে।” সব মিলিয়ে এসএফআই আন্দোলন নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.