সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনের নামে শিক্ষামন্ত্রীকে হেনস্তার ঘটনায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বাম-অতি বাম যোগসাজশে ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভার দিন অশান্তি করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে যাদবপুর কাণ্ডে এবার মুখ খুললেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
তিনি বলেন, “আমি মনে করি, একটা বড় জমায়েত ডাকা হোক যাদবপুর থেকে। সেই জমায়েত থেকে ঘোষণা হোক যে, এটা আমাদের শেষ অনুরোধ। আমরা শান্তি চাইছি। কিন্তু এই জিনিস চলতে থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয় তো আর বন্ধ করতে পারি না। কিন্তু যে চ্যালেঞ্জ করছে ওরা, এখনই সেটা নিতে পারি। গোটা বাংলায় নির্বাচন হোক না, দেখি ক’টা কলেজে ওরা মনোনয়ন দিতে পারে দেখি। বুথেই তো মনোনয়ন দিতে পারে না”
তবে এখনও কেন ‘চুপ করে আছেন’, সেই কারণ ব্যাখ্যা করেন। তাঁর দাবি, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে গোটা দল চুপ করে আছে, সংযম দেখাচ্ছে। শুধু একটু নির্দেশও দিতে হবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুধু বলতে হবে, ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে আপনারা যা পারেন বুঝে নিন। অরূপ এক মিনিট বলেছে। আমি ৩০ সেকেন্ড বলব। একটা কানে কানে কথা বলার পর, দু’টো কান তো খুঁজে পাওয়া যাবে না কথা বলার জন্য।”
যাদবপুর কাণ্ডের শুনানিতে এদিন ‘বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনে’র প্রসঙ্গ তুলে ধরেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। মদন বলেন, “কেন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতো হবে? যারা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মতো করার চেষ্টা করছে, আদালত তাদের বিচার করুক। কারা পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানানোর চেষ্টা করছে? এত সহজ? ওরা বাংলাদেশ বানিয়ে দেবে আর আমার বসে থাকব? এনাফ ইজ এনাফ। আমি বলতে পারি, শান্ত পশ্চিমবঙ্গে যাদবপুর যে পথে চলছে, তাতে বাংলার ছাত্র ও যুবসমাজ গর্জে উঠেছে, মেনে নিতে পারছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ আছে বলে আমরা সংযম করছি। কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি এই সংযম ভেঙে যাবে।” বলে রাখা ভালো, এখনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা ধরনা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা স্থির করতে বৈঠকেও বসেন তাঁরা। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয় আন্দোলনকারীদের, সেদিকে এখন নজর সকলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.