সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির পরতে-পরতে রহস্য। পিঁয়াজের খোসার মতো পরত সরতেই উঠে আসছে একের পর পর এক তৃণমূল নেতার নাম। এনিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছে রাজ্য়ের শাসকদল। এবার সেই ইস্যুতে মুখ খুললেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও (TMC MLA Madan Mitra)। দলের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, “এঁদের সূচ দিয়ে কে ঢুকিয়ে দিল দলে? তৃণমূল অবস্থান স্পষ্ট করুক।” স্বাভাবিকভাবেই দলের পুরনো নেতার এহেন মন্তব্যে অস্বস্তিতে শাসকদল। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, “মদনদা যা বলেছেন শুনেছি। বড় দল, সংগঠন বড়। কে কোথা থেকে কার মাধ্যমে দলের স্রোতে এসে গিয়েছে সেটা বলা মুশকিল। “
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁর মুখ থেকে একাধিক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে, যারা দুর্নীতির টাকার ভাগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ। আবার সেই সমস্ত অভিযুক্তরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত বলেও খবর মিলেছে। এই প্রেক্ষিতে তৃণমূলের ‘কালারফুল’ নেতা মদন মিত্রের প্রশ্ন, “কুন্তল বলছে, সব টাকা দলপতিকে দিয়েছে। তারপর কালীঘাটের কাকু। এঁদের সূচ দিয়ে কে ঢুকিয়ে দিল দলে?
এদের নিয়ে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবিও তুলেছেন কামারহাটির বিধায়ক। তাঁর দাবি, “কুন্তলকে দলের দায়িত্বের চিঠি কে দিয়েছে? কার নির্দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে? একজন নেতা তো বলুক। এরা তৃণমূল করেন, না কি করেন না? তৃণমূল অবস্থান স্পষ্ট করুক। তাহলে আমরা দলের ছেলেদের বলতে পারি।” এরপরই মদনের আক্ষেপ, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে এমন চলবে! এটা মানা যাচ্ছে না। এত পচা লোকজন তৃণমূল করে? ছিঃ!” পরিশেষে তাঁর সংযোজন, “যে সব নাম উঠে আসছে তৃণমূল করে বলে, কারা এদের নেতা? কে ঢোকাচ্ছে? এটা খোঁজা হোক। একটা মিটিং ডাকা হোক।”
মদন মিত্রের এহেন মন্তব্য় নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বলেন, “কিছু বলার থাকলে দলের মধ্যে বলা উচিত। কারও কোনও বক্তব্য থাকতে পারে। দল যতটা সম্ভব মেদমুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছে। সেখানে এভাবে প্রকাশ্যে এসব কথা বলা ঠিক না”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.