কৃষ্ণকুমার দাস: মুম্বই বা দিল্লির তুলনায় কলকাতায় অনেক সস্তায় জিনিসপত্র মেলে ঠিকই৷ কিন্তু তা বলে মাত্র ছ’টাকায় ভাতের থালি! বিশ্বাস না হলে চলে যান দক্ষিণ কলকাতার শিশুমঙ্গল হাসপাতালে উলটো দিকের ফুটপাতে৷ নিজের চোখেই দেখতে পাবেন, মাত্র ছ’টাকায় পেট ভরে খাচ্ছেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়রা৷
[পরনে ধুতি, শহরের শপিং মলে ঢুকতে বাধা এক ব্যক্তিকে]
ঘড়িতে সাড়ে বারোটা বাজার অপেক্ষা৷ লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ছেন শ’য়ে শ’য়ে মানুষ৷ মাত্র ছয় টাকায় ভাত-ডাল-তরকারি সহযোগে সেরে ফেলছেন মধ্যাহ্নভোজ৷ বিক্রেতাদের দাবি, প্রতিদিন তাঁদের দোকান থেকে ভাতের থালি কিনে খান দু’শোরও বেশী মানুষ৷ তবে মাছ বা মাংস পাবেন না৷ নিরামিষ আহার৷ ক্রেতা সকলেরই বক্তব্য, মান তো যথেষ্ট ভালো তো বটেই, খাবার রীতিমতো সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকরও৷
কিন্তু, ফুটপাতের দোকানে এক ভাঁড় চায়ের দামই তো ৫ টাকা৷ এই অগ্নিমূল্যের বাজারে কীভাবে মাত্র ছ’টাকা মিলছে ভরপেট খাবার? পরখ করার আগে শুনতেই হল নেপথ্য কাহিনি। সপ্তাহ খানেক মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমারের সঙ্গে দেখা করেন শহরের এক নামী স্থপতি৷ তাঁর প্রস্তাবে বিস্মিত হয়েছিলেন সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম সেনাপতি দেবাশিষও। এক প্লেট ভাত-ডাল-সবজি তৈরি করে হাতে তুলে দিতে খরচ পড়ছে ১০ টাকা। প্লেট পিছু নিজের পকেট থেকে ৪ টাকা ভরতুকি দিয়েই ছ’টাকায় পেট ভরিয়ে সামাজিক দায়িত্ব পালন করছেন ওই স্থপতি৷ দিন কয়েক আগে শিশুমঙ্গল হাসপাতালের সামনে কার্যত চায়ের দামে এই ভাতের থালি শহরের ক্ষুধাতুর মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন খোদ মেয়র পারিষদ (উদ্যান)দেবাশিস কুমার৷ শুধু তাই নয়, সোমবার দুপুর থেকে দেবাশিসবাবুর ক্লাব ত্রিধারা সম্মিলনীতে পাওয়া যাবে শহরের সবচেয়ে সস্তা ভাতের থালি৷ ভাগাড়কাণ্ডে আতঙ্কে মাংসের স্বাদ ভুলেছে শহরবাসী৷ এখন তাঁদের একটাই প্রার্থনা, ছ’টাকা নিরামিষ ভাতের থালি পৌঁছে যাক পাড়ায় পাড়ায়৷
[পুরস্কারের ফাঁদে সর্বস্বান্ত হচ্ছে শহরবাসী, নেপথ্যে কি বিদেশি চক্র?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.